সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেসের সঙ্গে যাবতীয় মতবিরোধ মিটিয়ে নিতে রাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনটাই দাবি এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের ভূমিকায় তৃণমূলের অনেকেই অসন্তুষ্ট। কিন্তু মমতা বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের কথা ভেবে সেসব ভুলে যেতে রাজি আছেন।
সম্প্রতি একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে একমঞ্চে যেতে বিতৃষ্ণা দেখাচ্ছে তৃণমূল (TMC)। বরং, তৃণমূল অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তিকে একত্রিত করে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বিরোধীদের সমবেত ফোরামগুলিতে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না এরাজ্যের শাসকদলকে। এমনকী সংসদের ভিতরেও সেভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া চোখে পড়েনি। বরং, তৃণমূল নেতারা বিজেপিকে হারাতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে কংগ্রেসকেই লাগাতার নিশানা করে আসছেন। পালটা আসছে কংগ্রেসের তরফেও। সব মিলিয়ে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের (Congress) সম্পর্ক এখন তলানিতে। তবে শরদ পওয়ারের দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গের এই মতানৈক্য মিটিয়ে নিতে রাজি মমতা।
[আরও পড়ুন: মেয়েদের পূর্ণাঙ্গ আইপিএল আগামী বছরই, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে জানিয়ে দিলেন সৌরভ]
এনসিপি (NCP) সুপ্রিমো দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন,”মমতা নিজে আমাকে বলেছেন, তাঁর দল জাতীয় স্বার্থে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে রাজি। বিজেপিকে কঠিন লড়াই দেওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য।” পওয়ার জানান, বাংলার নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেসের ভূমিকায় তৃণমূলের অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে তৃণমূল সব ভুলতে রাজি।
[আরও পড়ুন: সৌগত রায়ের আবেদনে সাড়া, বাড়তে চলেছে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় রেশনের মেয়াদ]
বস্তুত, ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পরই কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হঠাতে বৃহত্তর বিরোধী জোটের পক্ষে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই উদ্যোগ নিয়ে সারা দেশের বিরোধী শক্তিগুলিকে এক ছাতায় আনতে সচেষ্ট হন তৃণমূল নেত্রী। দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা হয় রাহুলের সঙ্গেও। কিন্তু তৃণমূলের অভিযোগ, মমতার সে উদ্যোগে সেভাবে সাড়া মেলেনি কংগ্রেসের তরফে। তাই বাধ্যত নিজেদের মতো করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে তাঁদের। তৃণমূল সূত্রের দাবি, কংগ্রেস সদিচ্ছা দেখালে এখনও তাঁদের সঙ্গে জোট বাঁধতে আপত্তি নেই তৃণমূল নেতৃত্বের। কিন্তু সেক্ষেত্রে জোটের রাশ থাকবে মমতার হাতেই।