সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চূড়ান্ত নমনীয়তা দেখানো সত্ত্বেও ফের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক ভেস্তে গেল। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিন দিন অপেক্ষা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নানা শর্তের জটিলতা তৈরি করে এলেন না চিকিৎসকরা। রাজ্য অধিকাংশ দাবি মানলেও নবান্নের সামনে গিয়েও সভাঘরের বৈঠকে যোগ দেননি আন্দোলনকারীরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই অবস্থানে চূড়ান্ত হতাশ মুখ্যমন্ত্রী। আন্তরিকভাবে ব্যাথিতও। তবে এত কিছু সত্ত্বেও চিকিৎসকদের ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বললেন মমতা।
এদিন নবান্ন সভাঘরে ঘণ্টাদুয়েক অপেক্ষা করার পর সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "৩ দিন অপেক্ষা করলাম। ওরা এলেন না। আজও ২ ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করেছি। ওরা এসে সভাঘরে ঢুকলেনই না। কেন ঢুকলেন না জানি না। তাও আমরা কোনও ব্যবস্থা নেব না। ছোট ভাইবোনেদের ক্ষমা করে দেব। ওরা ছোট, বড়দের উচিত ছোটদের ক্ষমা করে দেওয়া। আমরাও ক্ষমা করে দেব।"
[আরও পড়ুন: ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তর্ক! জরুরি অবস্থার সময়ে গ্রেপ্তার হন ছাত্রনেতা ইয়েচুরি]
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'কথা বললেই সমস্যার সমাধান হয়।' কার্যত হাতজোড় করে তিনি বললেন, "শুভবুদ্ধির উদয় হোক। জেদাজেদি করবেন না। এত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। আমার হৃদয় কাঁদছে। ২৭ জন মারা গিয়েছেন। ৭ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা পাননি। ডাক্তারেরা ভগবান। কিন্তু আমার হৃদয় কাঁদছে।"
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে গিয়ে ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ, তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার]
শুধু জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে নয়, রাজ্যের আমজনতার উদ্দেশেও হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, "তিন দিনেও সমাধান করতে পারলাম না। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। যাঁরা নবান্নের সামনে এসেও বৈঠকে এলেন না, তাঁদের আমি ক্ষমা করলাম।"