সুমন করাতি, হুগলি: বর্ধমানের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ার পথে মাঝরাস্তায় থামলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় সিঙ্গুরে সামান্য দাঁড়াল তাঁর গাড়ি। সেখানেই দেখা করলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক বেচারাম মান্নার সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর পেয়ে রতনপুরের কাছে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন তিনি। সেখানে গাড়ি থেকেই বেচারাম মান্নার সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌজন্য আদানপ্রদান করেন। এর পর আবার তিনি বর্ধমানের পথে রওনা দেন। প্রথমে যাওয়ার কথা জামালপুরে।
টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হুগলির একাংশও। বিশেষত আরামবাগ, পুরশুড়া এলাকায় বন্যার জল জমায় বিপদে পড়েছেন মানুষজন। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে নিজে এসব জায়গায় গিয়েছেন বেচারাম মান্না ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। দুর্গতদের ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়া থেকে যথাযথ ত্রাণবণ্টন ব্যবস্থার কাজ ঠিকমতো চলছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেছেন বেচারাম মান্না। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সেই সংক্রান্ত খবরাখবরও তিনি দিয়েছেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে সোমবার ফের দুদিনের সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন দুপুরে সড়কপথে বর্ধমান যাওয়ার পথে সিঙ্গুরের কাছে দাঁড়ায় তাঁর কনভয়। সামান্য কিছুক্ষণ পর আবার গাড়ি বর্ধমানের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এদিন বর্ধমানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন। মঙ্গলবার তাঁর বাঁকুড়া ও বীরভূম সফর। সেখানেও প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। গোটা পরিস্থিতির দ্রুত মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের কর্মী, আধিকারিকদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যার জলে যে সব কৃষিজমির ক্ষতি হয়েছে, সেসব চাষিরা সরকারি ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।