অর্ণব আইচ: পরিচিতের হাতেই খুন হয়েছেন ভবানীপুরের গুজরাটি দম্পতি। এই তত্ত্বেই কার্যত সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee) এবং কলকাতার সিপি বিনীত গোয়েল। বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং সিপিকে নিয়ে ভবানীপুরের ঘটনাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। আগেই মৃতের মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। এদিনও তাঁর সঙ্গে কথা বললেন। জানালেন সমবেদনাও। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, দোষীদের কড়া শাস্তি হবে।
ভবানীপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। এই এলাকায় এরকম ঘটনা ঘটেনি। এটা পরিচিত লোক ছাড়া এরকমটা কেউ করতে পারত না। কায়দা করে ফায়দা তুলেছে।” একইসঙ্গে সুবিচারের আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান, যাতে সুবিচার পায় সেটা দেখতে হবে। ওদের পরিচিত কেউ হলেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।” একইসঙ্গে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিলেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত হতে পেরেছে। বাকি ১ শতাংশও ওরা করে ফেলবে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলব না।”
[আরও পড়ুন: কলকাতায় বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ! ফিল্মি কায়দায় জানলা ভেঙে দুষ্কৃতীদের ডেরা থেকে পালাল কিশোর]
এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেও কড়া বার্তা দিলেন মমতা। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “ভবানীপুর এলাকা শান্ত ছিল, থাকবেও। যারা অশান্তি করাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই কেঁদে ফেলেন নিহত দম্পতির ছোট মেয়ে। কাঁদতে কাঁদতেই তাঁর আফশোস, গত শুক্রবার যে বাড়িতে এসেছিল। সে এমনটা কীভাবে করতে পারে? দেড়টার সময় বাড়ির সামনে লোকজন ঘোরাফেরা করে তার মধ্যে কীভাবে এমনটা হল?
সূত্রের খবর, সম্পত্তি নিয়ে অশান্তিত জেরে পরিচিতের হাতেই খুন হয়েছে ভবানীপুরের বৃদ্ধ দম্পতি। তবে মামলার জাল অনেকটাই গুটিয়ে এনেছেন বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিপি বিনীত গোয়েলও। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতাতেই লুকিয়ে রয়েছে আততায়ী। প্রাথমিকভাবে গুলি করার পরিকল্পনা তার ছিল না। কিন্তু ধারাল অস্ত্রের হাতল ভেঙে যাওয়ায় গুলি করে খুন করা হয় বৃদ্ধাকে।