সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিতে রুদ্ররূপ ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। যত এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়,ততই উপকূল এলাকায় বাড়ছে বৃষ্টি। বাড়ছে নদীগুলির জলস্তর। রেমালের দাপটে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় আমজনতা। তবে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে একাধিক সতর্কতাও দেন তিনি।
রোড শো বাতিল হলেও, রবিবার যাদবপুর লোকসভার তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষের সমর্থনে জোড়া জনসভা করেন মমতা। সোনারপুরের সভা থেকে মমতা বলেন, "দেখুন বাইরে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি। সন্ধে ৬টার পর থেকে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। র্যান্ডম একদিন চলবে। ভয় পাবেন না, কিন্তু সাবধানে থাকবেন।" তিনি আরও বলেন, "বিদ্যুৎ চলে গেলে যায় চিন্তা করার কারণ নেই, জেনারেটরের আমরা রেখেছি। ব্যবস্থা করব। কিন্তু সারাতে তো সময় দিতে হবে। বাংলা নদীমাতৃক। দয়া করে টিভি চালাবেন না। এসি চালাবেন না। এমার্জেন্সি আলো, পাখা ছাড়া কিছু চালাবেন না।" বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বিদ্যুতের খুঁটিগুলির দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন মমতা।
[আরও পড়ুন: এক হাতে ছাতা ও অন্য হাতে ধুতির খুঁট, ঝড়ের আগে ফের হাজির ‘সুপার হিরো’ কান্তি বুড়ো]
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মংলা বিমানবন্দরের কাছে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমালের। তবে তার প্রভাবে ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বৃষ্টি। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। অন্যান্য জেলায় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। সোমবার বেশি বৃষ্টি হবে নদিয়া মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলাতেও। উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার বিকেলের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন কলকাতায়। ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ইতিমধ্যে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ফেরি সার্ভিসও বন্ধ। আংশিক বন্ধ মেট্রো পরিষেবা। বাতিল হয়ে গিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিও।