সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবীন্দ্রজয়ন্তী নিয়েও রাজনৈতিক তরজা। জোড়াসাঁকোয় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) কবিপ্রণামে রাজনীতির ছায়া দেখছে শাসকদল। পরোক্ষে তা নিয়ে আলগা সমালোচনাও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কেন্দ্রীয় নেতাদের যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব স্পষ্ট বলে তিনি উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার ধনধান্যে প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য সরকারের রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamta Banerjee) বলেন, ”না জেনে লিখে এনে কিংবা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সবসময়ে তাঁকে অনুভব করেন। হদয়ের মধ্যে দিয়েই রবি-উপাসনা হোক, তবে তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই আক্রমণের নিশানায় শুধু আজ জোড়াসাঁকোয় অমিত শাহর কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচিই নয়। সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের সময় বাংলায় এসে যেভাবে দিল্লির বিজেপি নেতারা বিশ্বকবির মাটি নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন, যার মাধ্যমে বিশ্ববরেণ্য কবি সম্পর্কে তাঁদের অজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে। খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শান্তিনিকেতনকেই (Santiniketan) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে একসময়ে। এছাড়া কলকাতায় তাঁরই নির্বাচনী সফরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
[আরও পডুন: আগামী সপ্তাহেই মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ? ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর]
সেসব ঘটনার কথা ছুঁয়েই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি (BJP) নেতাদের নিশানা করলেন। তাঁর কথায়, ”ভোটের সময় রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক কিছু না জেনে লিখে এনে কিংবা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। এমনকী বলে দেওয়া যায়, শান্তিনিকেতন কবিগুরুর জন্মস্থান। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে ফেলা যায়। এসব ঘটে। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সবসময়ে তাঁকে অনুভব করেন। হদয়ের মধ্যে দিয়েই রবি-উপাসনা হোক, তবেই তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো।”
[আরও পডুন: আইপিএলেও ডিএ প্রতিবাদ, ব্যানার হাতে ইডেনে ম্যাচ দেখতে হাজির সরকারি কর্মীরা]
শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, এর আগে অমিত শাহর এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন সকালে তৃণমূল ভবনে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের পর তিনি বলেন, ”চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বাঙালিকে কাছে টানার চেষ্টা। তবে রবীন্দ্রনাথকে ভোটের কাজে ব্যবহার করলে হবে না। তাঁর আদর্শ বুঝতে হবে। সেই পথে চলতে হবে। অর্থাৎ সহিষ্ণুতা, সর্বধর্ম সমন্বয়। কেন্দ্র তা করে না।”