সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। রীতিমতো ফুঁসছে তিস্তা, জলঢাকা। একাধিক রাস্তায় নেমেছে ধস। যার জেরে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিমের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। এই সমস্যার দায় কেন্দ্রের কাঁধেই চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ভুটান থেকে জল আসছে, যার জেরে ভুগতে হচ্ছে বাংলাকে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, গঙ্গার ভাঙন রোধে এক পয়সাও খরচ করেনি কেন্দ্র। ডিভিসি যখন খুশি জল ছেড়ে দেয়, ফলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। আয়েত্রী নদীর উপর বাঁধ তৈরির সময় রাজ্যকে জানানো হয়নি বলেও উষ্মাপ্রকাশ করলেন মমতা।
বর্ষা এলেই প্রতিবছর বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গ। বৃষ্টি বাড়লে পরিস্থিতির জটিলতা বাড়ে। এবারও কার্যত একই অবস্থা। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলো। এদিকে ভুটান থেকে আসছে জল। যার জেরে উত্তরবঙ্গ রীতিমতো বেহাল। একাধিক রাস্তায় নেমেছে ধস। যার জেরে শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সিকিমের। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বন্যা নিয়ে তোপ দাগলেন ভুটানকে। বললেন, "ভুটানের জল আসছে প্রতিবছর। সিকিম যখন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র করল কেন্দ্রের দেখা উচিত ছিল। ওটার জন্য আজ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। জলপাইগুড়ির মানুষ জানেন, আগে করোলা নদী ভাসত। আমরা ২০ কোটি টাকা খরচ করেছি। ভুটানের জলে এখন আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ভাসছে।’’
[আরও পড়ুন: চোপড়া কাণ্ডের ভিডিও পোস্ট, সেলিম-মালব্যর বিরুদ্ধে FIR নির্যাতিতার]
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘গঙ্গার রোধে কেন্দ্র আজ পর্যন্ত এক পয়সাও খরচ করেনি। কিন্তু এটা কেন্দ্রেরই দেখার কথা। ১০-১২ বছর ধরে দেখছে না। ফরাক্কার ড্রেজিংও করেনি। এদিকে আমরা কোটি কোটি টাকা খরচ করেও কিছু করতে পারছি না। উত্তরবঙ্গে ধস নামলে সেনার উচিত খেয়াল রাখা। সেখান দিয়ে তাঁরাই যাতায়াত করেন।আত্রেয়ী নদীতে বাঁধ দেওয়ার সময়ও জানানো হয়নি। জলসংকট তৈরি হয়েছে।’’ পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সেচ দপ্তরে শিফটিং ডিউটি করবে। প্রয়োজনে ছুটি বাতিল হতে পারে।