সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দুমাস পর দলুইখাঁকি কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। কারা ভাড়াটে খুনিদের ভাড়া করে খুন করায়, তাদের খুঁজে বের করা দরকার বলে মত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। কী করে মানুষকে মারার লক্ষ-লক্ষ টাকার ‘সুপারি’ দেওয়া হয়, তা নিয়ে হতবাক তিনি। একইসঙ্গে চিটফান্ড কাণ্ড ও ভাদু শেখ খুনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার জয়নগরের বহুড়া হাই স্কুলের মাঠে প্রশাসনিক সভা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখান থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার খুনের ঘটনা নিয়ে সরব হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,”কয়েকদিন আগে এখানে একটা খুন হয়েছিল। কারা এই ভাড়াটে খুনিদের ভাড়া করে, তাদের আগে খুঁজে বের করতে হবে। মানুষ খেতে না পেলে কেউ ৫ টাকা সাহায্য করে না, অথচ ১৩-১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে মানুষ মারার জন্য খুনি ভাড়া করছে!” প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আর্জিও জানান। উল্লেখ্য,গত নভেম্বরের মাঝামাঝি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জয়নগরের (Jaynagar) দলুইখাঁকি এলাকা। বাঙালবাড়ি মোড়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে শুটআউটে (Shootout) খুন হন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সইফউদ্দিন লস্কর। ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে উন্মত্ত জনতার মারে প্রাণ হারায় অভিযুক্ত। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, খুনের ঘটনায় বহিরাগত যোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে মাথা কেটে ফেলব’, অন্তরাল থেকে বার্তা সন্দেশখালির শাহজাহানের]
এদিকে চিটফান্ড তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত হলেও আমজনতা কোনও টাকা ফেরত পাননি বলে ক্ষোভ মমতার। তাঁর কথায়, চিটফান্ড নিয়ে এসেছিল সিপিএম। ২০১২ সালে সারদা কর্তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছিলাম। মানুষকে ২০০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছিলাম। তার পর কেন্দ্রীয় এজেন্সি সব সম্পত্তি নিয়েছে। সেগুলো বেচে টাকা ফেরত দিয়েছেন? সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত পেল কোথায়?” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর অভিযোগ,”ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এলাকা ফাঁকা করতে গ্রেপ্তারি!” বগটুই কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা।