গৌতম ব্রহ্ম: ভোট মিটতেই কাজে ফিরে একের পর এক ইস্যুতে 'জিরো টলারেন্স' নীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, সরকারি জমি জবরদখলকারীদের রেয়াত নয়। কোন এলাকার জমি দখল হয়েছে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফে বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এবং শিলিগুড়ি থেকে সরকারি জমি দখলের ভুরি ভুরি অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছে। মনে করা হচ্ছে, জমি জবরদখলকারীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, জমি জবরদখলকারীদের রেয়াত নয়। প্রয়োজনে জমি দখলকারীদের 'ঘাড় ধাক্কা' দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। কোন এলাকার কোন জমি দখল হয়ে গিয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই জমিগুলিকে অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে। তাতে 'সরকারি জমি' বলে হোর্ডিং লাগাতে হবে।
[আরও পড়ুন: কন্যাশ্রীর ধাঁচে ‘নিযুত ময়না’ প্রকল্প হিমন্তের, প্রতি মাসে ছাত্রীদের স্টাইপেন্ড সরকারের]
উল্লেখ্য, ভোট মেটামাত্রই নবান্নে কাজে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব বাধা দূর করে সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই এখন লক্ষ্য তাঁর।বর্ষার আগে যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে নজর দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবারই নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী। বেদখল হয়ে যাওয়া রাজ্যের জমি উদ্ধারের বিষয়ে প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেন। বুধবারও ফের একই ইস্যুতে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।