সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: অক্টোবরেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে দেশের সব স্কুলে পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি হবে। বুধবার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। তবে সেই মূল্যবৃদ্ধি নামমাত্র। নতুন দর ১ অক্টোবর থেকেই কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। তবে, মিড-ডে মিলের এই বরাদ্দবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শিক্ষামহল। ‘কেন্দ্রের বঞ্চনায়’ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
তিনি ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক মিড ডে মিলের বরাদ্দ নাম কা ওয়াস্তে যৎসামান্য বাড়িয়েছে। প্রাথমিকে ছিল ৫ থেকে ৪৫ পয়সা সেটা এখন হয়েছে ৬ টাকা ১৯ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকে ছিল ৮ টাকা ১৭ পয়সা সেটা এখন হয়েছে ৯ টাকা ২৯ পয়সা। অর্থাৎ প্রাথমিকে বেড়েছে ৭৪ পয়সা উচ্চ প্রাথমিকে বেড়েছে ১ টাকা ১২ পয়সা। অথচ আমরা দাবি করেছিলাম প্রতি স্তরে ন্যূনতম অন্তত ৩টাকা করে বাড়ানো হোক। আবার প্রমাণিত হল, শিশুদের মুখের খাবারের গুণাগুণ বা পরিমাণ বৃদ্ধিতে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার কতটা উদাসীন আর নির্লিপ্ত।’
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা এদিন বলেন, বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বাজার দর অনুযায়ী বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছিল। এর আগে শেষবার, ২০২২-এর ১ অক্টোবর বরাদ্দ বৃদ্ধি করে প্রাথমিকে ৫.৪৫ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৮.১৭ টাকা করা হয়। দীর্ঘ দাবির পর ২৬ মাস পর প্রাথমিকে ৭৪ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১১২ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যখন একটি ডিমের দাম ৭ টাকা। আলু-সহ সবজি, ডাল, রান্নার গ্যাস ইত্যাদির দাম আকাশছোঁয়া। গত ২ বছরে কয়েক গুণ দাম বৃদ্ধি হয়েছে। অথচ বর্তমানে যতটুকু বৃদ্ধি করা হল তাতে একটি ডিমও কেনা যাবে না। তাই শিক্ষক মহলে অতিশয় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এদিন, এক প্রেস বিবৃতিতে হাণ্ডা অভিযোগ করে বলেন, দেশের প্রতি ৩ জন শিশুর মধ্যে ১ জন অপুষ্টিতে ভোগে, অথচ তাদের জন্য এই সামান্য পরিমাণ বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে, দেশের নেতারা তাদের শিক্ষিত করে তোলা তো দূরের কথা, তাদের অপুষ্টিও দূর করতে চান না। তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে মিড-ডে মিলের ভূমিকা অপরিসীম। তিনি মাথাপিছু মিড-ডে মিলে ২০ টাকা করে বরাদ্দের দাবি করেন।