স্টাফ রিপোর্টার: কেন্দ্রের বকেয়া আদায়ে এবার সময়সীমা বেঁধে চূড়ান্ত হুঙ্কার দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাজভবনে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজ্যপালের চা চক্রের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র বঞ্চনা করছে। বিপুল টাকা বকেয়া। বার বার দাবি করা সত্ত্বেও তারা টাকা দিচ্ছে না। অফিসার স্তরের বৈঠকও হয়ে গেল। এতেও কাজ না হলে আমরা আর সাতদিন দেখব। সাতদিন পর থেকে লাগাতার তীব্র আন্দোলনে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস।’’
মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট যে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই বকেয়া আদায়ের দাবিতে আবার বড়সড় কর্মসূচি নিতে চলেছে দল। জোট সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলনেত্রী তাঁর ঘোষিত অবস্থান আবারও স্পষ্ট করে দেন। রাজ্য কংগ্রেসের লাগাতার বিজেপিপন্থী কুৎসার জন্য তিনি যে বিরক্ত এবং এদের জন্যই জোটের জট, সেটা বুঝিয়ে দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, উত্তরবঙ্গে একই সময়ে মমতা এবং রাহুল গান্ধী থাকছেন। তখন কি দেখা বা বৈঠক হবে? এই প্রশ্নের জবাবে নেত্রী বলেন, ‘‘এলে আসবে। আমার কর্মসূচি তো আগে থেকেই ঠিক আছে। যদি আসে এক কাপ চা খেয়ে যাবে।’’ এর বেশি একটি কথাও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেননি। কিন্তু এ নিয়েই রাজ্য-রাজনীতিতে সবরকম চর্চা তুঙ্গে ওঠে।
[আরও পড়ুন: অন্তরালে থেকেই সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা, কোথায় সন্দেশখালির শাহজাহান?]
এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ রাজভবনে আসেন মমতা। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এলে জাতীয় সংগীত শুরু হয়। এরপর অতিথিদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাজ্যপাল ও তৃণমূলনেত্রী। অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিমান বসু, তথাগত রায়, চন্দ্র বসু প্রমুখ। ছিলেন ঊষা উত্থুপ, শুভাপ্রসন্ন, পূর্ণদাস বাউল-সহ সংস্কৃতি জগতের তারকারা। এছাড়াও ছিলেন বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট নাগরিক, সেনা ও পুলিশকর্তা, আমলারা। রাজ্যপালের সঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য বিনিময়ের কথোপকথন চলে। মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণেশ্বরের কুশল চৌধুরিকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন।’’