নব্যেন্দু হাজরা: পুজোর আগেই খুলে যেতে চলেছে ‘বাংলার শাড়ি’র বিপণি। বুধবার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ‘বাংলার শাড়ি’ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আপাতত ঢাকুড়িয়ার দক্ষিণাপন এবং নিউ দিঘায় দু’টি শোরুম খোলা হচ্ছে। এরপর আরও একাধিক জেলায়-ব্লকে এই স্টল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
ভারচুয়ালি এই দুই শোরুমের উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। নবান্নসূত্রে খবর, নিম্ন, নিম্নবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত সকলের কথা মাথায় রেখেই এই স্টলে শাড়ি রাখা হবে। মাত্র ৩৫০ টাকা থেকে শাড়ির দাম শুরু হচ্ছে। সর্বোচ্চ ১১ হাজার টাকা দামের শাড়ি এখানে পাওয়া যাবে। বাংলার যত জেলার যত ধরনের শাড়ি আছে, সব শাড়িই এখানে পাওয়া যাবে। এছাড়া আজ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের অধীনস্থ বিভিন্ন জিনিসের প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। যা তিন দিন ধরে চলবে। থাকবে হস্তশিল্পের প্রদর্শনী। সাধারণ ক্রেতারা তা কিনতেও পারবেন।
[আরও পড়ুন: ফের বাড়ল পুজোর অনুদান, বিদ্যুতের বিলেও বড় ছাড়, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর ]
মাসকয়েক আগে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ‘বাংলার শাড়ি’ প্রকল্পের কথা বলেন। যেখানে কমদামী, দামী সব ধরনের শাড়ি পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে বাস্তবায়নে কমিটিও তৈরি করে দেন তিনি। বিশ্ববাংলার পর বাংলার ঘরের শাড়িকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনায় ‘বাংলার শাড়ি’ ব্র্যান্ডিং হতে চলেছে। এতে বাংলার তাঁতিদের আয় বাড়বে। আরও বেশি বিক্রি হবে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর।
তাঁত, মসলিন, বালুচরি, জামদানি সবই মিলবে এই বাংলার শাড়ির দোকানে। প্রথমধাপে কলকাতার ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপণ এবং নিউ দিঘায় দু’টি জায়গায় এই স্টল উদ্বোধন হবে। এছাড়াও প্রদর্শনীতে থাকবে তন্তুজ, মঞ্জুসা, রেশম শিল্পি, রিফিউজি হ্যান্ডিক্র্যাফট, বঙ্গশ্রী-সহ বিভিন্ন স্টল। থাকবে এমএসএমই এবং বস্ত্রশিল্প, কারিগরি শিক্ষা, অনগ্রসর উন্নয়ণ, পঞ্চায়েত-সহ একাধিক দপ্তরের হেল্পডেস্ক।
এর পাশাপাশি এদিন আতসবাজি হাব তৈরির কথাও ঘোষণার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তাছাড়া রাজ্যের কোথায় কোথায় বাজি তৈরির ক্লাস্টার তৈরি হবে তাও এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ঘোষণা হতে পারে। ইতিমধ্যেই বারাসাত, চম্পাহাটি, মহেশতলা, ধূপগুড়ি, বীরভুম এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ক্লাস্টার তৈরির জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে সামনেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। সেখানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এদিন রাজ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ণে মুখ্যমন্ত্রী কোনও বার্তা দেন কিনা সেটাই দেখার।