shono
Advertisement

নিষেধাজ্ঞা ওঠার পরই জনসভায় মমতা, বিচারের ভার জনতার হাতে ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো

'তোমরা হারবে, কারণ আমি স্ট্রিট ফাইটার', বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ মমতার।
Posted: 08:51 PM Apr 13, 2021Updated: 09:03 PM Apr 13, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা আপাতভাবে ক্রিয়াহীন। কারণ, নিষেধাজ্ঞা চলছিল। তাই নির্বাচনী প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু কমিশনের নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টা পেরতেই এক মিনিটও সময় নষ্ট নয়। দিনের শেষবেলায় সন্ধে ৮টার পর জোড়া সভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বারাসতে তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর সমর্থনে সভা থেকে অবশ্য প্রথমেই তিনি এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন। বললেন, ”আমার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আর বিজেপি নেতারা রোজ এসে প্রচার করে যাচ্ছে। এর বিচারের ভার আমি জনগণের হাতে ছেড়ে দিলাম। ওঁরাই এর বিচার করবেন।” তাঁর এই কয়েকটা কথাই যেন পুরো জনসভার মূল নির্যাস হয়ে দাঁড়াল। ভোকাল টনিক পেয়ে চাঙ্গা দলীয় কর্মী থেকে আমজনতা – সবাই।

Advertisement

গোটা একটা দিন প্রচার হয়নি। তারপর প্রচারে নেমে যে দ্বিগুণ আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, তা প্রত্যাশিত ছিল। রাত ঠিক আটটা কুড়ি নাগাদ বারাসতের  (Barasat)সভা শুরু করেন তিনি। আর শুরুতেই ঝাঁজালো আক্রমণ। বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, ”তোমাদের টাকা আছে, দালাল আছে। তা সত্ত্বেও তোমরা হারবে। কেন জানো? কারণ, আমি স্ট্রিট ফাইটার। আমি বরাবর লড়াইয়ে থাকি। আমাকে আঘাত করে লাভ নেই, আমি প্রত্যাঘাত করি।” এ প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে এক ব্রিটিশ বন্ধুর আলাপচারিতার গল্প উল্লেখ করে বোঝালেন, নেতা ভাল না হলে কোনও লড়াইয়ে জেতা যায় না। 

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ২০, টেস্ট বাড়তেই ঊর্ধ্বমুখী আক্রান্তের সংখ্যাও]

এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধতে গিয়ে বর্ধমান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিহিদানা নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন। বলেছিলেন, ”দিদি, আপনার কি মিহিদানা পছন্দ না? তাহলে আপনার এত তিক্ততা কেন?” বারাসত থেকে তার জবাব দিতে গিয়ে শক্তিগড়ের ল্যাংচার কথা উল্লেখ করলেন তিনি। তাঁর পালটা খোঁচা, ”বর্ধমানের ল্যাংচা খেয়েছেন কখনও? ল্যাংচা খাননি বলই তো ল্যাংচাতে হচ্ছে। জানেন, কীভাবে মিহিদানা তৈরি হয়?” রাজ্যে ৮ দফা নির্বাচনের প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনী জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা নিয়ে আগেও একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এও জানিয়েছিলেন, মোদি সভা করছেন বলেই তিনিও ভোটের দিনগুলোয় নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত থাকছেন। এদিনের জনসভায় বললেন, ”প্রত্যেক ভোটের দিন সভা করতে আসছেন।দরকার হলে, কমিশন যদি বলে, আমি ওই দিন সভা করব না।” 

[আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের রোড শোয়ে ধুন্ধুমার, বিজেপির মিছিলে ইটবৃষ্টি, পালটা ভাঙচুর তৃণমূল কার্যালয়ে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement