ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আনলক ওয়ানে সবেমাত্র স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে তিলোত্তমা। দীর্ঘদিন পর সরকারি, বেসরকারি একাধিক অফিসেই শুরু হয়েছে কাজ। প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন আমজনতা। তবে গন্তব্যে পৌঁছতে ভরসা শুধুমাত্র বাস। তার ফলে ভোগান্তি যে একেবারে হচ্ছে না তা নয়। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীদের অফিস পৌঁছতে দেরি হলেও হাজিরা খাতায় লাল কালির দাগ পড়বে না বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের কথা ভেবেও বিশেষ অনুরোধ জানালেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ রোখার কথা মাথা রেখে শুক্রবারের ফেসবুকে পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা লেখেন। তিনি লেখেন, “বাঙালিদের কোনওদিন দমিয়ে রাখা যায় না। তাই তো করোনা এবং আমফানের মতো জোড়া ধাক্কা সামলে এগিয়ে চলেছি আমরা। রাজ্য সরকারের তরফে আমি সমাজসেবী, পুলিশ, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে ধন্যবাদ জানাই। দয়া করে আপনারা সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন। নিজেদের সুষম পুষ্টির দিকেও নজর রাখুন।”
[আরও পড়ুন: কলকাতার একাধিক বেসরকারি স্কুলে জারি ফি বৃদ্ধির নোটিস, প্রতিবাদে বিক্ষোভ-অবরোধ অভিভাবকদের]
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, “দয়া করে কেউ তাড়াহুড়োয় ভিড় বাসে চড়বেন না। সরকারি কর্মীদের অফিসে ঢুকতে দেরি হলেও হাজিরা খাতায় লাল কালি পড়বে না বলে আগেই জানিয়েছি।” বেসরকারি সংস্থার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, “যতটা সম্ভব কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বন্দোবস্ত করুন। অফিসে আসতে হলেও তাঁদের ঢোকার সময়ের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিন।” আনলক ওয়ানের শুরু থেকেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের কথায় মাথায় রেখে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পথে হাঁটার অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর।
এছাড়াও প্রত্যেক রাজ্যবাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ, “দয়া করে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরবেন না। অবশ্যই মাস্ক পরুন। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলুন।”
[আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশনে থাকা করোনা রোগীর উপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ, ইতিহাসের সামনে বেলেঘাটা আইডি]
The post বেসরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ভোগান্তি এড়াতে সংস্থার কাছে বিশেষ অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.