সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসংযোগের উপর ভিত্তি করে একুশের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল (TMC)। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দু’বছর আগে থেকে ফের সেই জনসংযোগে জোর দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃতীয় তৃণমূল সরকারের একবছর পূর্তিতে শুরু হচ্ছে জনসংযোগ যাত্রা। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের সভা থেকে দলের জনসংযোগ কর্মসূচি বেঁধে দিলেন তিনি। ৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে জনসংযোগ যাত্রা।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির তুলনামূলক ভাল করে। তার পরই ‘দিদিকে বলো’, ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’-র মতো একাধিক কর্মসূচি শুরু করে তৃণমূল। সেই সময় গ্রামে-গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাস করেছিলেন সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ প্রশাসনিক ও দলীয় পদাধিতাকারীরা। ফের সেই কর্মসূচি ফেরাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। ৫ মে দুপুর একটায় বিশাল পদযাত্রার মাধ্যমে জনসংযোগ কর্মসূচির সূচনা হবে।
[আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েই দলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার]
তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিন দফায় হবে এই জনসংযোগ কর্মসূচি। প্রথম দফা ৫ মে-২১ জুলাই। শহিদ দিবস উপলক্ষে ২১ জুলাই বড় অনুষ্ঠান করবে তৃণমূল। তার পর ঘোষণা দ্বিতীয় দফা কর্মসূচির। চলবে দুর্গাপুজোর আগে অবধি। দীপাবলির পর শুরু হবে তৃতীয় দফা কর্মসূচি। প্রথমে ২ মে অর্থাৎ তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বর্ষপূতির দিন থেকেই এই জনসংযোগ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, ২ মে ইদ রয়েছে। তাই ওইদিনের বদলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে কর্মসূচি। দলের নেতা-কর্মীদের এলাকায় এলাকায় পোস্টার প্রদর্শনীর পরামর্শ দিলেন মমতা।
এদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলনেত্রীর বার্তা, “ভোটে জিতে ভুলে গেলে চলবে না। সই করে পালিয়ে যাওয়া যাবে না। সারা বছর নিজের ব্লকে, নিজের এলাকায় থাকতে হবে। পকেটের লোক নয় জনতার লোক হন।” মমতার পরামর্শ, “ট্রেড মিলে হেঁটে শরীরচর্চা না করে ওই সময় নিজের এলাকায় হাঁটুন। মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাতে পরিচিত বাড়বে। মানুষের সমস্যাও জানা যাবে।” এদিন তৃণমূল সাংসদ-বিধায়কদের খরচের ক্ষেত্রে দলের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমানোর পরামর্শ দেন দলনেত্রী।
[আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রদবদল, দায়িত্ব বাড়ল ফিরহাদের, পদোন্নতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের]
মমতার বলেন, দলের বেশি টাকা নেই। তাই ভিন রাজ্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাংসদরা নিজেদের বিমানের টিকিট ব্যবহার করুন। সাংসদ কোটায় তো আপনারা বিমান, রেলের টিকিট পান। সকলেরই তো গাড়ি আছে। সেগুলি কাজে লাগান। সাংসদ-বিধায়ক হওয়ায় সার্কিট হাউজও আপানারা ব্যবহার করতে পারেন। রাত্রিযাপন করলে এলাকায় নিজেরা রেঁধে খান। কারও বাড়িতে খেতে গেলে তাঁর পয়সায় না, নিজে একটু ঢেঁড়স পটল কিনে নিয়ে যান।” সবমিলিয়ে দলের নেতাদের বাংলার মাটি-মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবীড় করার পরামর্শ দিলেন মমতা।