সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য জাতীয় দলের তকমা ফেরত পাওয়া। মমতা বললেন, “আমরা লড়াই করে নেব। জীবন শুরু হয়েছে লড়াই করে। লড়াই করেই চলবে।”
চলতি বছর এপ্রিল মাসে তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ২০১৬ সালে তৃণমূলকে ওই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের বক্তব্য, জাতীয় দলের তকমা ধরে রাখার জন্য যে যে শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন, সেটা করতে পারেনি এরাজ্যের শাসকদল। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। বিজেপির (BJP) ইশারাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: উৎসবেও রেহাই নেই! দাদুর সঙ্গে দশেরা অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘ধর্ষিতা’ ৩ বছরের শিশুকন্যা]
পুজোর পর মমতার মুখে সেই অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হল। সেই সঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন, জাতীয় দলের তকমা ফেরাতে নিজেই লড়াইয়ে নামবেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন,”অনেকের প্রতীক নিয়ে নিয়েছে। আমাদের জাতীয় তকমা নিয়ে নিল। সে আমরা লড়াই করেই নেব। জীবন শুরু হয়েছে লড়াই করে। লড়াই করেই চলবে। সিপিএমের সময় থেকে লড়ছি। পার্টি লড়ুক। সরকার লড়াই করবে কেন? সরকারের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক ভাল থাকবে।” মমতার (Mamata Banerjee) ইঙ্গিত স্পষ্ট, এবার তাঁর লড়াই জাতীয় দলের তকমা ফেরানো। মমতা এদিন আরও একবার অভিযোগ করেন বিজেপির কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। তিনি বলেন, “সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে দেখুন। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো না। দেশের সাংবিধানিক পরম্পরা নয়। তাকে রক্ষা করুন। কী চলছে দেখুন। এটাকে থামান।”
[আরও পড়ুন: ‘হেমা মালিনীকেও নাচিয়ে ছেড়েছি’, উন্নয়ন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর!]
বস্তুত, ভবিষ্যতে ফের জাতীয় দলের স্বীকৃতি ফিরে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলার শাসকদলের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং তৎপরবর্তী নির্বাচনগুলিতে দলের পারফরম্যান্স দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ‘ন্যাশনাল পার্টি’র হারানো খেতাব ফিরিয়ে দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তেমনই জানানো হয়েছে। লোকসভা ভোট থেকেই যে মমতা সেই লক্ষ্য নেমে পড়বেন, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।