সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার মেডিক্যাল কলেজগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে ২৮টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে থ্রেট কালচার, তথাকথিত 'উত্তরবঙ্গ লবি'র দাপট ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, বুধবারই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতোর মতো পরিচিত জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হলে আরও তীব্র আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
রাজ্য সরকার আন্দোলনরতদের দাবি মেনে নেওয়ায় কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তাররা গত শনিবার কাজে ফিরেছেন। তবে ১০ দফা দাবি সরকারের সামনে পেশ করেছেন তাঁরা। সেই দাবি নিয়ে আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর থাকছে West Bengal Junior Doctor Forum-এর। কালকের বৈঠকের পরেই পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে তা ঠিক করবেন তাঁরা। শুক্রবার এসএসকেএম অডিটোরিয়ামে গণ কনভেনশনে পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উল্লেখ্য, বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, সরকার যদি রোগী পরিষেবা এবং ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়ে এই ধরনের গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়ে চলে, আমরা আন্দোলনকে তীব্রতর করতে বাধ্য হব।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে জুনিয়র ডাক্তাররা কী পদক্ষেপ করেন, সেদিকে নজর থাকবে সকলেরই।
উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। আর জি কর-সহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে সিসিটিভি লাগানো, প্যানিক বাটন ইনস্টল করার কাজ চলছে। রাতে মহিলা চিকিৎসকদের সুরক্ষাও জোরদার করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আগামিকাল ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। একইসঙ্গে, ‘রাতদখল’ বা অন্য কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কারণে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে হয়েছে বলে খবর মিলেছে। সেগুলো প্রত্যাহার না হলে আগামিদিনে আন্দোলন তীব্রতর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মুখ্যমন্ত্রীর বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পরে কী অবস্থান নেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেদিকে নজর থাকবে।