সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অবিজেপি নেতাদের একজোট করার চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের ভোটপ্রক্রিয়া চলাকালীন আরও একবার সেই প্রক্রিয়া শুরু করলেন তৃণমূলনেত্রী। একযোগে বিজেপি বিরোধী সব নেতাকে চিঠি লিখে মমতা (Mamata Banerjee) দাবি করলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানছে। অবিজেপি রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে।
নন্দীগ্রামের (Nandigram) ভোটের ঠিক আগের দিন মমতার লেখা এই তিন পাতার চিঠি গিয়েছে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার, ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিন, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লাহ, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এবং সিপিআইএম লিবারেশনের নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের কাছে। রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীনই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া এবং বাম নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের কাছে মমতার এই চিঠি যাওয়াটা আলাদাভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত করুন’, সিতাইয়ের সভায় গেরুয়া শিবিরকে তোপ অভিষেকের]
অবিজেপি নেতাদের লেখা ওই চিঠিতে তৃণমূলনেত্রী দাবি করেছেন,”কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশের গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর একের পর এক হামলা করে চলেছে। একের পর এক রাজ্যে অবিজেপি সরকারকে সমস্যায় ফেলা হচ্ছে রাজ্যপালের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে। রাজ্যপালরা বিজেপির পদাধিকারীদের মতো কাজ করছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নির্লজ্জের মতো ইডি-সিবিআই-সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যাবহার করছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুতে ডিএমকে এবং তৃণমূলনেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে।” মমতার দাবি, “বিজেপি অসীম ক্ষমতা নিয়ে বিরোধী দলগুলিকে বেসামাল করার চেষ্টা করছে। আজ কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এমন এক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যা এই দেশে আগে কখনও হয়নি। আর এই সব কিছুই একটি উদ্দেশ্যে। বিজেপি চায়, বিরোধী দলগুলি যাতে কোনওভাবেই নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে। তাই আমার মনে হয়, সময় এসে গিয়েছে বিজেপির এই সংবিধানের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। আমি তৃণমূলের (TMC) চেয়ারপার্সন হিসেবে আপনাদের সঙ্গে যৌথভাবে লড়াই করতে চাই। এবং ভারতবাসীর কাছে একটা বিকল্প তুলে ধরতে চায়।”