নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিতর্কিত তিন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এখনই কার্যকর করবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, নৈতিকভাবে কেন্দ্রের এই আইন এখনই কার্যকর করা উচিত নয়।
গত বছরের শেষদিকে পুরনো ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পাশ করায় কেন্দ্র। এই তিন আইনকে একসঙ্গে ন্যায় সংহিতা (Nyaya Sanhita) বলা হয়। এই নয়া আইন কার্যকর করা নিয়ে বিস্তর আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু সেসব আপত্তি উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। জানিয়ে দেওয়া হয়, ১ জুলাই ওই তিন আইন কার্যকর হবে দেশজুড়ে।
[আরও পড়ুন: হলং বাংলোয় শর্ট সার্কিট কীভাবে? নেপথ্যে উঠে আসছে ইঁদুরের গল্প!]
শুরু থেকেই তৃণমূল নেত্রী এই আইন কার্যকরে আপত্তি জানিয়ে এসেছেন। এরাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য, দণ্ড সংহিতা আইন যেসময়ে পাশ হয় তখন অধিকাংশ সাংসদ সাসপেন্ড ছিলেন। যথাযথভাবে আলোচনাও হয়নি এই আইন নিয়ে। এই আইন যদি কার্যকর হয়, তাহলে পুলিশি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তাছাড়াও এই আইনে বেশ কিছু গলদ থাকতে পারে। অসঙ্গতি থাকতে পারে আইনের নানা ধারায়। এদিন মোদিকে (Narendra Modi) লেখা চিঠিতেও সেই আপত্তির কথা পুনরায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার সাফ কথা, নৈতিকভাবেও এই আইন কার্যকর করা উচিত নয় সরকারের। অন্তত ১ জুলাই এই আইন কার্যকর না করে সময়সীমা খানিকটা হলেও পিছিয়ে দেওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: জয় দিয়ে কোপা শুরু বিশ্বজয়ীদের, মেসির নজির গড়া ম্যাচে কানাডাকে হারাল আর্জেন্টিনা]
মমতার সাফ কথা, "ওই তিন আইন স্বৈরাচারী মানসিকতা থেকে পাশ করানো হয়েছিল। গণতন্ত্রের কালো দিনে আইনটি তৈরি হয়েছিল। আমার মনে হয় এবার এই আইনটি পুনরায় খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।" মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "ওই তিন আইন নতুন করে সংসদে পেশ করতে হবে। ওই আইনগুলি সেসময় দ্রুততার সঙ্গে পাশ করানো হয়েছিল। এবার ওই আইনের অনেক ধারাতেই আপত্তি জানানো হবে। সেটা হলে, নতুন জনপ্রতিনিধিরাও আইনগুলি খতিয়ে দেখার সুযোগ পাবেন।" আগামী দিনে রাজ্যে এই ন্যায় সংহিতা কার্যকরের ক্ষেত্রে রাজ্য আপত্তি জানাবে কিনা, সেটা স্পষ্ট করেননি মুখ্যমন্ত্রী।