সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরবর্তী প্রজন্মের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের জায়গা ছেড়ে বড়রা চলে গিয়েছে পিছনের সারিতে। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশে এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করলেন নিজের ছাত্র রাজনীতির দিনগুলোর কথা। স্মৃতির সাগরে ডুব দিয়ে শোনালেন সেদিনের টুকরো কিছু গল্পও। বললেন, সরস্বতী পুজোকে সামনে রেখে CAA বিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করবে ছাত্র-যুব সংগঠন। তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বললেন, “লবি নয়, মন দিয়ে নিঃস্বার্থভাবে দলের কাজ করো।”
ছাত্রনেত্রী থেকে আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এই উত্তরণের গ্রাফটি কমবেশি সকলেরই জানা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কুর্সিতে বসার পরও ছাত্র রাজনীতির প্রতি তাঁর যে টান, যে অসীম প্রশ্রয়। এক্ষেত্রে তিনি দলমত নির্বিশেষেই যে কোনও অন্যায়ের বিরোধিতায় ছাত্রছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে তিনি সমর্থনই করে গিয়েছেন। সম্প্রতিই তা প্রকাশ্যে এসেছে, ধর্মতলায় টিএমসিপি-র অনশন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীকে এসএফআই সদস্যদের ঘেরাও করার ঘটনা। ওইদিন অত উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে তাঁদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিভিন্ন সভাতেও দেশের নবীন প্রজন্মের উদ্দেশে কোনও না কোনও বার্তা থাকেই তাঁর।
[আরও পড়ুন: ক্লাস চলাকালীন হাওড়ার স্কুলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ধোঁয়ায় ঢাকল আকাশ]
আজ, বেশ কয়েকবছর নেতাজি ইন্ডোরে বসেছে তৃণমূলের ছাত্র ও যুবদের কর্মশালা। সেখানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ছাত্র রাজনীতির দিনগুলো স্মরণ করলেন। শোনালেন, কীভাবে তিনি নিজে রাজনৈতিক জীবনের প্রথমদিকে বিরোধীদের হামলা থেকে বাঁচতে দোকানে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। বললেন, কীভাবে আন্দোলনের সময় সঙ্গীদের পাশে পেয়েছিলেন। জানালেন, সুব্রত বক্সির মতো শ্রদ্ধেয় নেতারা কীভাবে তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন – সবটাই। আর এই সুর টেনেই বললেন, “জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এটাই সময়। আজকের মঞ্চ ১৮-২৫ বছরের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। আমরা সিনিয়ররা পিছনের সারিতে চলে এসেছি। ভবিষ্যৎ তো ওরাই গড়ে তুলবে।”
[আরও পড়ুন: নাইজেরীয়দের কার্যকলাপে সতর্ক গোয়েন্দারা, শহরে অপরাধ ঘটাতে অনুপ্রবেশ]
এদিনের মঞ্চ থেকে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই বিজেপি বিরোধিতায় সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ বললেন, “গায়ের জোরে আইন প্রণয়ন করা যায় না। আমরা CAA বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাব। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। NRC-NPR’এর বিরোধিতাও করেছি। এনপিআরের বৈঠকেও যাইনি। আইন প্রত্যাহার করতে হবেই। একটা রং দিয়ে দেশ চলবে না।” নেতাজি ইন্ডোরে বক্তব্য শেষ করেই মুখ্যমন্ত্রী চলে যান বিধানসভায়। সেখানে আজ CAA বিরোধী প্রস্তাব পেশ হয়েছে, তা পাশও হয়ে গিয়েছে।
The post ‘লড়াই চালিয়ে যেতে হবে’, ছাত্র-যুবদের সামনে নিজের রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা মমতার appeared first on Sangbad Pratidin.