সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি, কর্মসংস্থান-সহ ১২ দফা দাবিতে ৮ ও ৯ জানুয়ারি একযোগে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। বনধের আওতায় থাকছে রেল, সড়ক, বিদ্যুৎ পরিষেবা। ধর্মঘটের আওতায় থাকছে ব্যাংকও। রাজ্যে বাম ট্রেড ইউনিয়ন, কো-অর্ডিনেশন কমিটি সহ অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলি এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে। ১২ দফা দাবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও তিন দফা অতিরিক্ত দাবি। সেগুলি হল, বকেয়া ডিএ প্রদান করতে হবে, ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু করতে হবে এবং ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে। মূলত বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলি এই ধর্মঘট ডাকলেও তা সমর্থন করেছে একাধিক ডানপন্থী ট্রেড ইউনিয়নও। সমর্থন করেছে একাধিক কৃষক সংগঠনও। কিন্তু এরাজ্যে এই বনধ ব্যর্থ করতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস সরকার।
[ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনে পৌঁছাতে হবে ১৫-২০ মিনিট আগে! আসছে নয়া নিয়ম]
মূলত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই বনধ হলেও এরাজ্যে ধর্মঘট বানচাল করতে চায় শাসকদল। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান স্পষ্ট। কর্মসংস্কৃতি বজায় রাখতে তিনি সব ধরনের বনধের বিরোধিতা করেছেন। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। বাম শ্রমিক সংগঠনের তরফে তাঁকে বনধে শামিল হতে অনুরোধ জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বরং উলটো পথে হেঁটে কড়া হাতে বনধ সমর্থকদের দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনওভাবেই যেন বনধ সফল করতে না দেওয়া হয়। নবান্নের তরফে, ডিজি, এডিজি এবং ডিভিশনাল কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। সরকারি অফিসগুলিতে যাতে কোনওরকম বনধ না হয় তাও নিশ্চিত করতে হবে। শুধু রাজ্য সরকার নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসগুলিতেও নিরাপত্তা দিতে হবে। সরকারি সম্পত্তি যাতে নষ্ট না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে। বনধের দু’দিন রাস্তায় অতিরিক্তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
[এবার গাফিলতি হলেই শাস্তির দাওয়াই মেট্রো কর্তৃপক্ষের]
আগেই রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, বনধের দু’দিন রাজ্যের সব রুটে চলবে অতিরিক্ত সরকারি বাস।বাড়তি লঞ্চ চলবে।মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফেও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত মেট্রো চালানো হবে। শুধু তাই নয়, কোথাও বাস বা অন্য কোনও যানবাহন না পাওয়া গেলে, জানানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে। সেই সঙ্গে, পরিবহণ কর্মীরা কাজে বেরিয়ে আক্রান্ত হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে রাজ্য। সোমবার থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ছুটি আগেই বাতিল করা হয়েছে। আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত ছুটি নিতে পারবেন না রাজ্য সরকারের কোনও কর্মী। সব মিলিয়ে, বনধ মোকাবিলায় কোমর বেঁধেই নামছে রাজ্য সরকার।