shono
Advertisement

‘সর্বভারতীয় জয়েন্টের প্রশ্নপত্রে গুজরাটি ঠাঁই পেলে বাংলা নয় কেন?’, কেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা মমতার

বোর্ড পরীক্ষার কৃতীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজ্যে 'জয় হিন্দ' বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
Posted: 04:29 PM Oct 05, 2020Updated: 08:05 PM Oct 05, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সর্বভারতীয় ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ফের বাংলা ভাষা রাখার সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ নবান্ন সভাঘরে চলতি বছর রাজ্যের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা, হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার কৃতীদের সংবর্ধনা দিতে গিয়ে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসন্তোষ উগরে দিলেন। বললেন, ”কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি। বলেছি যে গুজরাটি ভাষায় প্রশ্ন থাকলে বাংলা কেন থাকবে না?”

Advertisement

এদিন কেন্দ্রকে তিনি বিঁধলেন নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি (NEP 2020) নিয়েও। এই নীতি অনুযায়ী, বোর্ড পরীক্ষায় কোনও ব়্যাংক থাকবে না। তা নিয়েই কিছুটা ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ”মেধাতালিকা না থাকলে, কেউ নিজেদের ফলাফল নিয়ে গর্ববোধ করবে কীভাবে? এসব রেজাল্ট তো ছাত্রছাত্রীদের জীবনের সম্পদ। আমার মনে হয়, যে যেভাবেই পাশ করুক, একটা মেধাতালিকা দরকার।”

[আরও পড়ুন: ‘খুনকে আত্মহত্যা বানিয়ে দেবে’, বিজেপি নেতার ময়নাতদন্তে পুলিশের প্রতি অনাস্থা কৈলাসের] 

কোভিড আবহে এদিন নবান্ন সভাঘরে রাজ্যের বোর্ড পরীক্ষার কৃতীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল ভারচুয়ালি। সেখানেই কৃতীদের উদ্দেশে একাধিক বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তা বলতে গিয়েই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্কলারশিপ – সমস্ত নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। জানান যে মনীষীদের নামে রাজ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও, দেশনায়কের প্রতি সম্মানার্থে আরও একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, যার নাম হবে নেতাজির বিখ্যাত স্লোগান ‘জয় হিন্দ’ নামে। এছাড়া বিআর আম্বেদকরের নামেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরির ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: ‘সুবিচার সম্পর্কে আপনার ধারণা ভুল’, হাথরাস কাণ্ডে লকেটকে তীব্র কটাক্ষ নুসরতের]

এদিন নবান্ন সভাঘরে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রী-সহ শিক্ষাদপ্তরের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিলেন, কোভিড পরিস্থিতির জন্য কারও যেন ভরতিতে কোনও সমস্যা না হয় এবং আর্থিক সমস্যার জন্য কারও পড়াশোনা থমকে না যায়। কেউ যদি বই কিনতে না পারে, তার জন্য়ও যেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কারণ, তিনি মনে করেন, পড়ুয়ারাই দেশের ভবিষ্যত আর বাংলার পড়়ুয়ারা মেধার দিকে থেকে সবচেয়ে এগিয়ে। তাই মেধা বিকাশের রাস্তা খোলা রাখতে হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও কৃতী পড়ুয়াদের সঙ্গে বাক্যালাপ করেন মুখ্যমন্ত্রী, তাদের অনুপ্রেরণা জোগান, ভবিষ্যতের দিশায় আলোকপাত করেন। তবে সবটাই  দূর থেকে, ভারচুয়াল মাধ্যমে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement