সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের পর ধর্ষণের মতো অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কেবল নাবালিকার ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই ধর্ষণের একমাত্র সাজা হওয়া উচিত মৃত্যদণ্ড। সেই আবহে উত্তরপ্রদেশে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় তিন শর্তে অভিযুক্তকে জামিন দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। কী সেই শর্তাবলী?
তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছিল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। যেহেতু তরুণীর পরিবার দাবি করে, তাদের মেয়ে নাবালিকা। পালটা অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি করেন, নির্যাতিতার বয়স আঠারো বছরের বেশি। ধর্ষণের অভিযোগও মানা হয়নি, বরং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের ঘটনা। যাবতীয় বিষয়ে আদালতকে তথ্যপ্রমাণ দেন অভিযুক্তের আইনজীবী। পাশাপাশি জামিনের দাবি করে বলা হয়, অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে বিয়ে করতে রাজি আছেন, সদ্যোজাতের দায়িত্ব নিতেও প্রস্তুত। এর পরই তিনি শর্তে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণন পহল নির্দেশ দেন, প্রথমত তিন মাসের মধ্যে নির্যাতিতাকে বিয়ে করবেন অভিযুক্ত। দ্বিতীয়ত, সদ্যোজাতের দায়িত্বও তাঁকেই নিতে হবে। , জামিনে মুক্তির ছ’মাসের মধ্যে সদ্যোজাতের নামে ব্যাঙ্কে দু’লাখ টাকার একটি স্থায়ী আমানত খুলতে হবে। শেষ পর্যন্ত এই শর্তেই জামিনে মুক্ত হন ধর্ষণে অভিযুক্ত।