সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারবার ফোন করলেও ফোন ধরছিলেন না প্রৌঢ়। চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁর আত্মীয়। উদ্বিগ্ন হয়ে ফোন করেন পুলিশে। এরপর পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছান আত্মীয়া। বাড়িতে পৌঁছে প্রৌঢ়র সন্ধানে তল্লাশি চালাতেই প্রকাশ্যে আসে ভয়ংকর কাণ্ড! এক পুলিশ কর্মী ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করেন ওই প্রৌঢ়ের দেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিল্লিতে (Delhi)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বছর পঞ্চাশের ব্যক্তির নাম জাকির (Zakir)। তিনি রাজধানীর গৌতমপুরী (Gautampuri) এলাকার বাসিন্দা। নিজের বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা আলাদা থাকতেন। এদিন তাঁকে ফোন করেন এক মহিলা, যিনি জাকিরের আত্মীয়। যদিও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বারবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি জাকির, তা বেজে যায়। শেষ পর্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে শুক্রবার সকাল ৭টা ১৫ নাগাদ পুলিশকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান ওই মহিলা। এরপরে ওই আত্মীয়াকে সঙ্গে নিয়ে জাকিরের গৌতমপুরীর বাড়িতে আসেন পুলিশকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: দ্রৌপদী মুর্মুর জয়কে ভোটবাক্সে পরিবর্তনের কৌশল বিজেপির, বঙ্গের আদিবাসী নেতাদেরও নির্দেশ]
যদিও বাড়িতে গিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না প্রৌঢ়কে। সব ঘর ঘুরে দেখা হয়। এরপরেই এক পুলিশকর্মীর চোখ পড়ে একটি ঘরে রাখা ফ্রিজের দিকে। সন্দেহ হওয়ায় সেটি খুলতেই আঁতকে ওঠেন। দেখা যায় ওই ফ্রিজের ভিতরেই ঠেসেঠুসে রাখা হয়েছে জাকিরের দেহ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ প্রৌঢ়কে খুন করে ফ্রিজের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। যাতে করে দেহ পচে গন্ধ না বের হয়, এবং প্রতিবেশীরা জানতে না পারেন। কবে খুনের ঘটনা ঘটেছিল তা এখনও জানা যায়নি। সমস্ত বিষয়ে নিশ্চিত হতে প্রৌঢ়ের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রাজধানী দিল্লিতে স্টেশনেই গণধর্ষণের শিকার যুবতী! গ্রেপ্তার চার রেলকর্মী]
উল্লেখ্য, দেশের রাজধানী শহরে অপরাধের ঘটনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মুখ পুড়ছে স্থানীয় প্রশাসনের। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গোটা দেশে অন্যতম অপরাধপ্রবণ শহর দিল্লি। তা রুখতে প্রশাসন একাধিক ব্যবস্থা নিলেও কাজের কাজ হচ্ছে না বলেই দাবি নাগরিকদের। গত বৃহস্পতিবার গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৪ রেলকর্মী। গৌতমপুরীর একলা বাসিন্দার রহস্যময় মৃত্যু আরও এক উদাহরণ।