দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দ্বিতীয় বিয়ে। স্ত্রী ও মেয়ে প্রতিবাদ করতেই বেধড়ক মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুজনেই। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত নিকারিঘাটা পঞ্চায়েতের পাঙ্গাশখালি গ্রামে। আক্রান্ত মহিলা ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় ২০ বছর আগে পাঙ্গাশখালি গ্রামের যুবক সফিক লস্করের সাথে বিয়ে হয় ওই গ্রামেরই সাহানারা লস্করের। দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে। সংসারের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় সন্তানদের মানুষ করার জন্য সাহানারা কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। স্বামী সফিক লস্কর দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে মঙ্গলবার পাঙ্গাশখালি গ্রামে যান। তা নিয়েই প্রথম স্ত্রীর সাথে মারাত্মক বচসা হয়। সন্তানদের মুখ চেয়ে প্রথম স্ত্রী শেষ পর্যন্ত স্বামীর এমন কীর্তি মেনেও নেন।
[আরও পড়ুন: ঘুচল না বন্দিদশা, ফের বাড়ল কেজরির জেল হেফাজতের মেয়াদ]
অভিযোগ, সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে বুধবার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বচসা বাঁধে সফিকের। শুধু বচসা নয়, সাহানারা ও সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে করেন প্রথম স্ত্রী। অভিযোগ, এর পর সফিক তাঁর প্রথম স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের হাত থেকে মাকে উদ্ধার করতে দৌড়ে যায় মেয়ে। অভিযোগ, লাঠি,কোদালের বাঁট দিয়ে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় মা ও মেয়ে দুজনেই গুরুতর জখম হন। প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে। দুজনেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে সাহানারা লস্কর জানিয়েছেন, "কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাই। তার পরও স্বামী অত্যাচার করত, মেনে নিতাম। আবার একটা বিয়ে করে। প্রতিবাদ করেও পরে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকেই সংসার চালাতে হবে! প্রতিবাদ করি।ঘ র থেকে বের করে দিয়ে আমাকে ও মেয়েকে লাঠি, কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।"