অর্ণব দাস, বারাকপুর: পণের দাবিতে গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে মৃতের শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক। বধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য খড়দহের রহড়া থানার অন্তর্গত ডাঙাদিঘি এলাকায়। দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম রিমা বিবি। বয়স ২০ বছর। রবিবার সকালে পরিবারের কাছে খবর আসে রিমা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁদের মেয়ের উপর, পণের দাবিতে জামাই অকথ্য অত্যাচার চালাতেন। বাদ যেতেন না শ্বশুর-শাশুড়িও। দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচারে বাধ্য হয়ে রিমার বাপের বাড়িতে থেকে পুলিশে অভিযোগও জানানো হয়। তবে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে ফের সংসার শুরু করেন মৃত বধূ।
[আরও পড়ুন: সহকর্মীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের শাস্তি! উত্তরপ্রদেশের ডিএসপিকে বসানো হল কনস্টেবল পদে]
অভিযোগ, কিছুদিন পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও, ফের বাড়ে অত্যাচারের মাত্রা। আবার পণের দাবিতে ঝগড়া, অশান্তি শুরু হয় বলে দাবি। এই আবহে রবিবার সকালে রিমার এক প্রতিবেশী তাঁর বাবার বাড়িতে ফোন করে জানান রিমা আত্মহত্যা করেছেন।
মৃতের বাবা বলেন, " বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে ওরা মেয়ের উপর অত্যাচার চালত। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব সেই দাবি মিটিয়েছি। তবে কয়েকদিন আগে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে ওঠায় আমরা পুলিশে অভিযোগ জানায়। পরে তা তুলে নেওয়া হয়। আজ শুনি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা তা মানছি না। ওরা মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। দোষীদের চরমতম শাস্তি চাই।" রিমার ভাই বলেন, "আজ আমার কাছে ওর শ্বশুর বাড়ির পাশের একজনের ফোন আসে। দিদি আত্মহত্যা করেছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন উনি। আমরা এসে দেখি এই অবস্থা।" মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে রহড়া থানার পুলিশ।