নন্দন দত্ত, সিউড়ি: চোর ধরতে গিয়ে ছুরির কোপে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটে বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার থানার সোঁতশাল এলাকায়। মহালয়ার ভোরে এমন কাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাঁচামির পাথর খাদান এলাকায়।
পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা লরির কাঁচ ভেঙে চুরি করছিল দুই যুবক। ওই এলাকায় পাশের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন ২২ বছরের যুবক শেখ মণিরুদ্দিন। গাড়ির জানালা ভাঙার শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে দুই চোরকে দেখতে পায়। দেখেই চিৎকার করে ওঠে। তাঁর চিৎকারে সমবয়সি কয়েকজন জেগে যায়। সবাই মিলে দুই চোরকে তাড়া করে। আগে ছুটে যায় মণিরুদ্দিন। বাকিরা ছিলেন পিছনে। পাম্পের পিছনের মাঠ দিয়ে চোরেরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মণিরুদ্দিন তাঁদের তাড়া করে। মাঠের মাঝে চোরের দলের বাকি সদস্যরা তাঁকে ধরে ফেলে। ঘটনাস্থলেই তাঁর পেটে ছুরি মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় মণিরুদ্দিনকে দেখে আর কেউ ভয়ে এগোয়নি। সেই সুযোগে চোরেরা পালায়। জখম মণিরুদ্দিনকে উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও শ্বাসকষ্টের জেরে সেখানেই মৃত্যু হয় মনিরুদ্দিনের।
দীঘল গ্রামের বাসিন্দা মন্দিরুদ্দিন পাথরের ব্যবসা করতেন। রাতে জাতীয় সড়ক ধারে পাথরের গাড়ি পারাপারের জন্য তিনি পাম্পের পাশেই থাকতেন। মৃতের দাদা মিঠু মণ্ডল জানান, "গত ২৫ তারিখ এলাকায় চুরি হয়েছিল। তার পর থেকেই ভাই-সহ আরও কয়েকজন নজর রাখছিল। এদিনও তাই করছিল ওরা।" মহম্মদবাজার থানার পুলিশ পেট্রল পাম্পের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুই চোরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে পুলিশের দাবি, ছবি অস্পষ্ট। চোরেদের মুখ বাঁধা ছিল। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি আনা হয়েছে। এদিকে চোরের হাতে খুন হওয়ায় পাথর খাদান এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।