নিরুফা খাতুন: এক দশকের উষ্ণতম বড়দিনের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। বর্ষশেষ বা বর্ষবরণও কি একইরকম কাটবে? বঙ্গবাসীর প্রশ্নের মুখে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, বছর শেষে জাঁকিয়ে শীত উধাও। তবে বর্ষশেষের আগে হাওয়া বদলের ইঙ্গিত। রবিবারের পর নামবে পারদ। বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে ফিরবে শীতের আমেজ। দার্জিলিয়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস বলছে, বর্ষশেষের আগে হাওয়া বদল হবে। আপাতত দুদিন স্বাভাবিকের উপরে থাকবে তাপমাত্রা। উইকেন্ডে সামান্য বাড়বে উষ্ণতা। রবিবারের পর নামবে পারদ। তাপমাত্রা কমলেও জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি এ বছরে নেই, জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে ফিরবে শীতের আমেজ। কলকাতার রাতের তাপমাত্রা আরও একটু বেড়েছে। সকাল সন্ধ্যা শীতের আমেজ থাকলেও কার্যত শীত উধাও কলকাতায়। দিনের বেলায় উষ্ণতার ছোঁয়া। সোমবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। বর্ষশেষ বা বর্ষবরণে শীতের আমেজ কিছুটা ফিরতে পারে।
বছরের শেষ উইকেন্ডে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গ। শনিবার হালকা বৃষ্টি হবে তিন জেলাতে-পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ। প্রভাব পড়তে পারে আশেপাশের দুই-একটি জেলাতেও। হালকা বৃষ্টি দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতেও। তবে পর্যটকদের জন্য সুখবর রয়েছে। শনিবার উঁচু পার্বত্য এলাকায় হতে পারে হালকা তুষারপাত। বরফ পরতে পারে দার্জিলিয়েও।
এদিকে গভীর নিম্নচাপ এখনও সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রূপেই অবস্থান করছে। খুব ধীরে এটি শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। অভিমুখ থাকবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। এদিকে আবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। গতকালে তা রাজ্যে ঢুকেছে। আগামিকাল, শুক্রবার উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে আরও একটি ঝঞ্ঝা। জেডস্ট্রিম উইন্ড রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পূর্ব বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায়। হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ এলাকায় রয়েছে আরও দুটি ঘূর্ণাবর্ত।