সৈকত মাইতি, তমলুক: পরিচয় গোপন রেখে বন্ধুর প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা। লাভ না হওয়ায় গোপন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি! ভগবানপুরের যুবকের কীর্তিতে হতবাক পুলিশ। অভিযোগ, শুধু বন্ধুর প্রেমিকাই নয়, সোশাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদ পেতে অন্তত প্রায় হাজার দশেক মহিলার গোপন ভিডিও নিজের মোবাইলে রেখেছিল গুণধর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম তন্ময় শাসমল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের বাসিন্দা তিনি। মহিষাদল রাজ কলেজে পড়ার সুবাদে এক বন্ধুর সঙ্গে ভাড়াবাড়িতে থাকত তন্ময়। সেখানেই তন্ময় এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুই তরুণীর। পরবর্তীতে বিচ্ছেদও হয়ে যায়। এর পর গত নভেম্বরে নীল রায় পরিচয়ে ফেসবুকে মহিষাদলের বন্ধুর প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করে তন্ময়। কিন্তু তিনি নীলের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় একের পর এক হুমকি আসতে শুরু হয়। অভিযোগ, নিজেকে বড় হ্যাকার বলে পরিচয় দিয়ে ওই যুবতীর আপত্তিকর কিছু ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। এর পরই তমলুক সাইবার থানার দ্বারস্ত হন মহিষাদলের ওই যুবতী।
[আরও পড়ুন: বিডিও-র নাক ভেঙে দেওয়ার হুমকি! ফের বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক, পালটা দিল তৃণমূল]
তদন্তে নেমে ভগবানপুর থেকে নীল রায় ওরফে তন্ময়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় মোবাইল ফোনটি। আর তা দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের। অভিযোগ, কেবল বন্ধুর প্রাক্তন প্রেমিকাই নয়, জেলা এবং জেলার বাইরের একাধিক যুবতী মহিলার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের প্রায় হাজার দশেক ভিডিও ক্লিপ রয়েছে তন্ময়ের ফোনে। সূত্রের খবর, শুধুমাত্র নিজের বিকৃত ইচ্ছে পূরণে একাধিক মহিলাদের সঙ্গে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলত অভিযুক্ত। এর পর নানান অছিলায় ওই যুবতী- মহিলাদের থেকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের নানান ছবি এবং ভিডিও নিজের সংগ্রহে রেখে শুরু হত ব্ল্যাকমেলিং।