অর্ণব আইচ: ”টাকা না দিলেই খুন করে দেব’, অজানা নম্বর থেকে আসা হোয়াটসঅ্যাপ কলে বারবার একই হুমকি পাচ্ছিলেন সংগীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খানের (Rashid Khan) মেয়ে। প্রথমে পাত্তা দেননি। তবে পরপর বেশ কয়েকবার ফোন আসায় হতচকিত হয়ে যান। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। প্রথমে বিষয়টি পাত্তা দেয়নি পুলিশ। পরে যদিও তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখা। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার সংগীতশিল্পীর প্রাক্তন গাড়িচালক এবং অফিসের কর্মচারী।
সংগীতশিল্পীর পরিবার সূত্রে খবর, গত ৯ অক্টোবর প্রথমবার হোয়াটসঅ্যাপ কল (Whatsapp Call) পান উস্তাদ রশিদ খানের মেয়ে। হোয়াটসঅ্যাপ কলে প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে খুন করে দেওয়ার হুমকিও দেয় সে। এভাবে একাধিকবার ফোন আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ফোনে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। সংগীতশিল্পীর কন্যা হুমকি ফোনের কথা বাড়িতে জানান। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রত্যেকেই। নেতাজিনগর থানায় যোগাযোগ করেন। সংগীতশিল্পীর পরিবারের দাবি, পুলিশ প্রথমে বিষয়টিতে পাত্তা দিতে চায়নি। ভুয়ো ফোন বলেই বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: সম্পর্কের স্বীকৃতি, বিজয়া দশমীতে বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়]
তবে হুমকি ফোন লাগাতার আসতেই থাকে। তাই ফের থানায় যোগাযোগ করে সংগীতশিল্পীর পরিবার। এরপর লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়। তদন্তে নামেন আধিকারিকরা। পুলিশ তাঁর প্রাক্তন গাড়িচালক অবিনাশ কুমার ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। তার সঙ্গে কথা বলেই সামনে আসে দীপক ঔলাখের নাম। তিনি সংগীতশিল্পীর অফিসের কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, দীপক মাত্র কয়েকদিনই সংগীতশিল্পীর বাড়িতে কাজ করেছিল। উস্তাদ রশিদ খানের বাড়ির নিরাপত্তাজনিত নিয়মকানুন না মানায় কাজও চলে যায় তার। কাজ হারিয়ে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) চলে যায় সে। এরপরই হোয়াটসঅ্যাপ কলে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করে হুমকি দিচ্ছিল দীপক।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুব কম সময়ের মধ্যে সংগীতশিল্পীর অফিসের কর্মচারীর কাজ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল দীপক। সেই আক্রোশের বশে সে এই কাজ করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় নিয়ে আসার কথা। তাকে জেরার পর সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীদের।