সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মথুরার (Mathura) এক ধোসা বিক্রেতা দোকানের নাম রেখেছিলেন ‘শ্রীনাথ ধোসা সেন্টার’। আর সেই কারণেই তাঁর দোকানে ভাঙচুর করল এক দল দুষ্কৃতী। তাদের অভিযোগ, কেন হিন্দু দেবতার নামে দোকানের নামকরণ করা হয়েছে। ভাঙচুরের ভিডিও ভাইরাল (Viral video) হয়েছে নেট দুনিয়ায়। অবশেষে পদক্ষেপ করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। দোকানের নামও বদলে ‘আমেরিকান ধোসা সেন্টার’ করে দিয়েছেন দোকানদার।
ঠিক কী হয়েছিল? মথুরার সদরবাজার সংলগ্ন তাকিয়া মহল্লায় চাকা লাগানো একটি দোকান চালান ওই ধোসা বিক্রেতা (Dosa seller)। নিজের সেই দোকানের নাম হিন্দু দেবতার নাম রেখেছিলেন তিনি। এই ‘অপরাধেই’ ওই ব্যক্তির উপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কীভাবে ওই ব্যক্তিকে নানা ভাবে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছিল তারা। কেন মুসলিম হয়েও হিন্দু দেবতার নামে দোকানের নাম রেখেছেন ওই ব্যক্তি, জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। এতে মথুরা অপবিত্র হচ্ছে বলেই দাবি করে দুষ্কৃতীরা। এমনকী ওই দলকে কৃষ্ণনাম (Srikrisna) জপ করতেও দেখা যায় মথুরাকে শুদ্ধ করে। কেউ এমন বলে, দোকানের এই নাম দেখে ভুল করে এখানে খায় হিন্দুরা। এরপরই শুরু হয় ভাঙচুর।
[আরও পড়ুন: গলানো সোনার আস্তরণ জিনসে লাগিয়ে পাচারের চেষ্টা, গ্রেপ্তার যুবক]
কোতোয়ালি ইন্সপেক্টর সূর্যপ্রকাশ শর্মা জানিয়েছেন, ”মূল অভিযুক্ত শ্রীকান্ত চকবাজার এাকার বাসিন্দা। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছে।” তবে অভিযুক্তরা কেউই কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শ্রীকান্তকে জেরার করার পরই সে তার সঙ্গীদের নামও বলে দিয়েছে। তাদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। রবিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই দোকানের ভাঙচুরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে এফআইআর দায়ের হয় অভিযুক্তদের নামে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।