অর্ণব আইচ: টেট (TET) পরীক্ষায় পাশ করিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ১৬ বছর ধরে টানা জালিয়াতি। এমনকী, হোয়াটস অ্যাপে ভুয়ো নিয়োগপত্রও পাঠিয়েছিল জালিয়াতরা। এই অভিযোগেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি। যেখানে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হচ্ছে, ইডি (ED)ও সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হচ্ছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সেখানে এই গ্রেপ্তারিকেও পুলিশ বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম বিমল দলাইত। ২০০৫ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তিকে টেট পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতে শুরু করে অভিযুক্ত বিমল। এর মধ্যে একাধিকবার রাজ্যে টেট পরীক্ষা হলেও যাঁরা বিমলকে টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা আর প্রাথমিক শিক্ষকের (Primary teacher) চাকরি পাচ্ছিলেন না। ওই চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরত দিতে বলেন। কয়েক বছর আগে সে হোয়াটস অ্যাপে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp)নিয়োগপত্র পাঠাতে থাকে। প্রার্থীরা সেই নিয়োগপত্রের প্রিন্ট আউট বের করে চাকরির জন্য যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন যে, সেই নথি ভুয়ো (Fake)। এরপরই সতর্ক হন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘নিখোঁজ’ প্রধানমন্ত্রী! ‘সন্ধান’ পেতে টুইট করে খোঁচা কংগ্রেসের]
এক চাকরিপ্রার্থী এই ব্যাপারে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০০৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত টানা ১৬ বছর ধরে তাঁর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এর মধ্যে বিমল নিজেই সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখে। এছাড়াও আরও কয়েকজনের কাছ থেকে একই পদ্ধতিতে জালিয়াতি করা হয়েছে। এই ‘নিয়োগ দুর্নীতি’র পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে কি না, পুলিশ তাও জানার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত তদন্ত করে পুলিশ বিমলকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতকে জেরা করে আরও কতজনকে সে জালিয়াতির জালে ফেলেছে, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।