সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধর্মীয় হিংসা পাকিস্তানে (Pakistan)। আল্লাকে অবমাননার অভিযোগে গণপিটুনিতে (Mob lynching) মৃত্যু হলো এক যুবকের। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে আফগান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখাওয়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) দলের মিছিল থেকে এই ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। আর তার জেরেই ঘটে গেল এমন স্পর্শকাতর ঘটনা। যা ফের বুঝিয়ে দিল, পাকিস্তানে নাগরিক নিরাপত্তার হাল কতটা সঙ্গীন।
ঘটনাটি শনিবারের। ওইদিন পাকিস্তানের অন্যতম রক্ষণশীল এলাকা বলে পরিচিত, সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়ার (Khybar Pakhtunkhwa) মর্দান শহরে মিছিল চলছিল ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (PTI)। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এক যুবক সেখানে আল্লাবিরোধী কোনও মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। পিটিআই সমর্থকরা তাতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ওই মন্তব্যের জন্য তাঁকে প্রায়শ্চিত্তের কথা বলা হয়। শুধু বলেই ক্ষান্ত হননি তাঁরা। ওই যুবককে ঘিরে ধরে প্রায় মারমুখী হয়ে ওঠেন ইমরান সমর্থকরা। বিপদ বুঝে মিছিল থেকে কোনোক্রমে পালিয়ে যান ওই যুবক। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।
[আরও পড়ুন: কেরলে নৌকাডুবিতে মৃত বেড়ে ২২, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]
স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক নাজিব-উর-রহমান জানিয়েছেন, উত্তেজিত জনতা যুবককে ধাওয়া করে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তারপর পাঁচিল টপকে বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে ঢুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নিগার খান নামে যুবকের। পুলিশ আরো জানিয়েছে, পিটিআই সমর্থকরা এতটাই হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল যে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারির কোনও খবর নেই।
শনিবারের ওই মিছিলে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান খান। দলের মিছিল থেকে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় মুখে একেবারে কুলুপ এটেছে তেহরিক-ই-ইনসাফ। নিন্দায় সরব মানবাধিকার কর্মীরা। উল্লেখ্য, ধর্মীয় বিদ্বেষের (Blasphemy)জেরে পাকিস্তানে এমন ঘটনা নতুন নয়। আল্লা সম্পর্কিত কোনওরকম বিরোধী মন্তব্য করলেই সে দেশে নেমে আসে কঠোর শাস্তির খাঁড়া, প্রাণঘাতী হামলা। নিগার খানের মৃত্যুও তারই এক নৃশংস নমুনা।