সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক প্রেমিকের নৃশংসতার সাক্ষী রইল হায়দরাবাদ। প্রেমিকাকে ফোন আর মেসেজ করেন বন্ধু। আর তাতেই মেজাজ হারিয়ে সেই বন্ধুর মুন্ডু কেটে, শরীর থেকে হৃৎপিণ্ড আলাদা করে দিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করল ওই প্রেমিক। যে ঘটনা জেনে শিউরে উঠেছে পুলিশও।
রবিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়, ২২ বছরের অভিযুক্তর নাম হরিহর কৃষ্ণ। তার বিরুদ্ধেই বন্ধু নবীনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। দুই বন্ধু একই স্কুলে পড়ত। সেই স্কুলেরই ছাত্রী ছিলেন ওই তরুণী। প্রথমে নবীন সেই তরুণীকে প্রেম প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হয়ে যান ওই তরুণী। বছর দুয়েক প্রেম পর্ব চলার পর অবশ্য তাঁদের সম্পর্কে ইতি পড়ে যায়। এরপর হরিহরের সঙ্গে ভালবাসায় সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। কিন্তু নবীনের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ ছিল তাঁর।
[আরও পড়ুন: রান্না করা নয়, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে এবার থেকে দেওয়া হবে প্যাকেটজাত খাবার, নির্দেশ নবান্নের]
হরিহরের অজান্তেই তার প্রেমিকাকে ফোন আর মেসেজ করত নবীন। এমনকী নিজের ব্যক্তিগত ছবিও ওই তরুণীকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাত। বিষয়টি জানার পরই তা সহ্য করতে পারেনি অভিযুক্ত হরিহর। খুনের ধরন থেকেই পুলিশ বুঝতে পারে বন্ধুটির উপর কতখানি ক্ষুব্ধ ছিল অভিযুক্ত। মুন্ডু কেটে, শরীর থেকে হৃৎপিণ্ড আর যৌনাঙ্গ বের করে, আঙুল টুকরো টুকরো করে কেটে পুলিশের কাছে এসে নিজের অপরাধ স্বীকার করে।
২২ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত হরিহর জানায়, তিন মাস ধরে বন্ধুকে খুনের ছক কষছিল সে। অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মদ্যপ অবস্থায় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে নবীন ও হরিহর। তারপরই নবীনকে নৃশংস ভাবে খুন করে সে।