সুব্রত বিশ্বাস: রেলে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা প্রভুকরণ মাধুকে তামিলনাড়ুর সালেম থেকে গ্রেপ্তার করল শেওড়াফুলি রেল পুলিশ (Rail Police)। ট্রানজিট রিমান্ডে প্রতারক প্রভুকরণকে শুক্রবার নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। আদালতের নির্দেশে তাকে হেফাজতে নেয় রেল পুলিশ।
এমএসসি পাশ করেও প্রতারণার বিশাল জাল বিস্তার করেছিল প্রভুকরণ মাধু। শ্রীরামপুর থেকে রাজারহাটে প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়ে ছিল সে। হাওড়া রেল পুলিশের সুপার পঙ্কজ দ্বিবেদী জানান, পাঁচজনকে রেলে চাকরি দেওয়ার নাম নামে ৩৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল মাধু। প্রত্যেকেই তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তাঁদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে প্রশিক্ষণের অছিলায় রাতে রিষড়া স্টেশনে বসিয়ে রাখা হত। গত ডিসেম্বর থেকে চলছিল এই কর্মকাণ্ড। একদিন আরপিএফের (RPF) হাতে ধরা পড়ে যায় রাজারহাটের বাসিন্দা অনিল কুমার, রিষড়ার জিতেন্দ্র চৌধুরি। দুই প্রতারককে জেরা করে শেওড়াফুলি জিআরপি রাজারহাটের অভিনব ও শ্রীরামপুর কুমীরজলা রোডের রজনীশ দুবেকে ধরা হয়। রজনীশের কাছে থেকে জাল নিয়োগপত্র, রেলের নকল সিলমোহর, ল্যাপটপ, প্রিন্টার আটক করে পুলিশ। এদের জেরা করে তামিলনাড়ুর প্রভাকরণ মাধুর নাম জানতে পারে পুলিশ। এরপরই রাজ্যের অনুমতি নিয়ে তামিলনাড়ু যায় জিআরপির দল। বৃহস্পতিবার মাধুকে গ্রেপ্তারের পর বিমানে কলকাতায় আনা হয়।
[আরও পড়ুন: রোজভ্যালি কাণ্ডে প্রথম সাজা ঘোষণা, ৭ বছরের কারাদণ্ড সংস্থার এক আধিকারিকের]
এমএসসি পাশ মেধাবী ছাত্র প্রভাকরণ প্রতারণার বিষয়টিকেই পেশা করে নেয়। কথার মারপ্যাচে বেকার যুবকদের প্রলুব্ধ করতে সিদ্ধহস্ত সে। সুদূর বাংলায় পূর্ব রেলে ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামে অনেকের থেকে মোটা টাকা নেয়। এরপর বাংলায় পাঠিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করতে। শেওড়াফুলি জিআরপির ওসি গোপাল ঘোষ জানান, রাজারহাট থেকে ধৃত অনিল কুখ্যাত অপরাধী। কলকাতা পুলিশে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। হেয়ার স্ট্রিট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলাও রয়েছে।