সুমন করাতি, হুগলি: শিশু চুরির অভিযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শোরগোল। ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনায় লাগাম টানা যেন যাচ্ছেই না। তারই মাঝে এবার চন্দননগর হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। সদ্যোজাত বদলের অভিযোগে সরব প্রসূতির পরিবারের লোকজন। নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের দাবিও জানান তাঁরা।
বুধবার সকালে সাড়ে নটা নাগাদ ঋতু রায় নামে এক মহিলা চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই সময় প্রসব বেদনায় প্রায় ছটফট করছিলেন তিনি। বেলা বারোটা নাগাদ সন্তানের জন্ম দেন মহিলা। ঋতুর স্বামী বিশ্বজিতের দাবি, পুত্রসন্তান দেখানো হয় তাঁকে। সেই অনুযায়ী নথিপত্রে সাক্ষরও করানো হয়। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরই ভোলবদল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঋতুর স্বামীকে নাকি ফের জানানো হয়, তিনি কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছেন। মহিলার স্বামীর দাবি, মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যে শিশু বদল করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর সন্তানকে স্বাস্থ্যকর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছেন বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ৩০০ বার ওঠবোস! ভয়ংকর র্যাগিংয়ের জেরে কিডনিতে সংক্রমণ ডাক্তারি পড়ুয়ার]
প্রসূতির স্বামী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে অত্যন্ত বিরক্ত। বিশ্বজিৎ রায় বলেন, "স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর সন্তান বদল করে দিয়েছেন। এই ধরনের ভুল হয় কী করে?" তিনি যে আদৌ কন্যাসন্তানেরই বাবা হয়েছেন তার প্রমাণ হিসাবে নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের দাবিও জানান। চন্দননগর হাসপাতালের সুপার গোটা ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। সদ্যোজাত বদলের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতাল চত্বরে চাপা উত্তেজনা।