সঞ্জিত ঘোষ ও সুবীর দাস: শনিবার গভীর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক শ্মশানযাত্রী। আহত ৪। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ফুলিয়ার কাছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। নবদ্বীপ থেকে মৃতদেহ দাহ করে শিমুরালি ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা। মৃত ব্যক্তি নদিয়ার শিমুলারির বাসিন্দা। আহতদের প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কল্যাণীর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম গোপাল সিকদার। বয়স আনুমানিক ৩০। শনিবার সন্ধ্যায় শিমুরালি ঘোষপাড়া এলাকার আনুমানিক বছর আশির বৃদ্ধার বয়সজনিত কারণে মৃত্যু হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা দেহ সৎকারের জন্য নবদ্বীপ শ্মশান নিয়ে যান। শবযাত্রী হন প্রতিবেশী গোপালও। রাতে সেই গাড়ি করেই বাড়িতে ফিরছিলেন শ্মশানযাত্রীরা। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ফুলিয়ার কাছে আসতেই যানজটের জেরে চালক গাড়িটির গতিবেগ কমিয়ে সাইড করতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: আর জি কর থেকে শিক্ষা, নারী সুরক্ষায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু করল এই কলেজ]
সেই সময় পিছন থেকে বাঁশ বোঝাই একটি লরি শ্মশানযাত্রীদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তৎক্ষণাৎ লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাত হয়ে যায়। লরিতে থাকা সব বাঁশ পড়তে থাকে গোপালদের গাড়ির উপরে। বাঁশের নিচে চাপা পড়েন একাধিক শবযাত্রী। তীব্র শব্দ শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যু হয় গোপালের। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।
শ্মশানযাত্রী বিবেক সর্দার বলেন, "নবদ্বীপ শ্মশান থেকে ফেরার পথে রাস্তায় আমাদের গাড়ি গতি কমিয়ে সাইড হচ্ছিল। সেই সময় পিছন থেকে একটি লরি ধাক্কা মেরে উলটে যায়। পাড়ার এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর আমরা প্রতিবেশীরা দেহ দাহ করতে আসি। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা।" মৃত্যুর খবর পাওয়ার কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোপালের পরিবার। এলাকায় শোকের ছায়া।