সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়েবাড়ির ভোজে টান পড়েছিল পাঁঠার মাংসের। সুস্বাদু এই আইটেম তাই ঠিকমতো পাতে পড়েনি অতিথিদের। যার রোষ গিয়ে পড়ে এক ক্যাটারিং কর্মীর উপর। অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন কনে ও পাত্রের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের হাত থেকে পালাতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে যান ওই যুবক। সেখানেই প্রাণ হারান তিনি। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম কৃষ্ণ কুমার। বুধবার রামগড়ের হুপ্পু গ্রামে একটি বিয়েবাড়িতে ক্যাটারিং করতে গিয়েছিলেন তিনি। এদিন রাত দেড়টা নাগাদ সমস্ত অনুষ্ঠান শেষ হলে সকলে খেতে বসেন। পাঁঠার মাংসের পদটি এতটাই সুস্বাদু হয়েছিল যে কিছুক্ষণের মধ্যেই তা প্রায় ফুরিয়ে গিয়েছিল। ফলে ফের মাংস চাইলে আর দিয়ে উঠতে পারছিলেন না ক্যাটারিং কর্মীরা। কম পরিমাণের কারণে কৃষ্ণও অতিথিদের পাতে পাঁঠার মাংস দিতে পারেননি। সেই নিয়ে গোল বাধে।
[আরও পড়ুন: বুলেটে ব্যালট রোখার ছক জেহাদিদের! ভোটের কাশ্মীরে খতম লস্কর জঙ্গি]
পুলিশ সূত্রে খবর, মাংস না পেয়ে ক্ষুব্ধ অতিথিরা বেধড়ক মারধর করেন কৃষ্ণকে। তখনই সেখান থেকে পালাতে গেলে কুয়োয় পড়ে যান বছর বাইশের এই যুবক। সেখান থেকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কৃষ্ণকে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার কনের বাবা, বিয়ের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও পাত্রের বাবার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।