সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক অনটন রোজকার সঙ্গী। খাওয়াদাওয়ার টাকাও নেই। মন চাইলেও পড়াশোনার খরচ জোগানো যেন বিলাসিতা! মেয়ের কলেজে টাকা জমা দিতে না পারায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এক ব্যক্তি। তার জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। গুজরাটের তাপির এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। শুরু বিজেপি ও আপের তরজা।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত বকুল প্যাটেল গুজরাটের তাপির গোদ্ধা গ্রামের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সংসার তাঁর। গাড়ি সারানোর কাজ করে দিন গুজরান করেন। স্থানীয় পুলিশের দাবি, মেয়ের কলেজের টাকা জমা দিতে পারছিলেন না বকুল। তার জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। যদিও ডেপুটি পুলিশ সুপার সিএম জাদেজার দাবি, করোনা পরবর্তী সময়ে বেশ খানিকটা আয় কমে গিয়েছিল ওই ব্যক্তির। তার ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সে কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন বকুল। তবে মেয়ের কলেজে টাকা জমা দিতে পারছিলেন না বলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কিনা, তা তদন্তসাপেক্ষ বলেই মনে করছেন শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক।
[আরও পড়ুন: নামেই আইন! স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে গুজরাটে গ্রেপ্তার BJP কাউন্সিলরই]
এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করে টুইটে সে রাজ্যের বিজেপি সরকারের দুষেছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তাঁর গাবি, “শিক্ষার জন্য টাকা জোগাড় করতে না পারায় আরেকটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। বিজেপির এবার এ বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। মেধা থাকা সত্ত্বেও সন্তানকে পড়াশোনা করাতে না পারার জ্বালায় অভিভাবকেরা ভয়ংকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বর্তমান সময়ে এই ঘটনা সত্যিই লজ্জাজনক।”
যদিও স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক মোহন ধোদিয়া আপ নেতার কথা মানতে নারাজ। তিনি জানান, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বকুলকে চিনতাম। অনেকবার গাড়ি সারানোর জন্য বাড়িতেও ডেকেছি। কখনও ওকে টাকার সমস্যার কথা বলতে শুনিনি। আমার মনে হয় আত্মহত্যার প্রকৃত কারণের খোঁজে আরও তদন্তের প্রয়োজন।”