অর্ণব আইচ: গড়িয়াহাটের একটি গেস্টহাউস থেকে উদ্ধার হল এক ব্য়ক্তির নগ্ন দেহ। যে ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি খুন করা হয়েছে তাঁকে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম পৃথ্বীশ কুমার গায়েন। স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পদে কাজ করতেন। মাস খানেক আগেই অবসর নিয়েছিলেন। তিনি নিজে তমলুকের বাসিন্দা হলেও দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) রাজডাঙা এলাকায় তাঁর পরিবারের লোকেরা থাকতেন। তা সত্ত্বেও অবশ্য গত এক বছর ধরে এই ডোভার লেনে গেস্ট হাউসেই থাকতেন পৃথ্বীশ বলে খবর। আজ, সোমবার সকালে সৌরেন্দ্র বিক্রম মুখোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, গড়িয়াহাটে তাঁদের একটি গেস্টহাউস রয়েছে। সেখানেই দ্বিতীয় তলে থাকতেন পৃথ্বীশ। এদিন সকাল থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে পুলিশ খবর দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘আবাস যোজনার টাকা না পেলে দিল্লি যাব’, বর্ধমানের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার]
এদিন সকালে গেস্টহাউসের (Gariahat Guest House) এক কর্মী পৃথ্বীশবাবুকে খাবার দেওয়ার জন্য দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কোনও সাড়া পান না। তাই বাথরুমের পাশের প্যাসেজ দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। গিয়ে দেখেন, বিছানা থেকে মাটিতে ঝুলছে তাঁর অর্ধেক দেহ। শরীর নেই কাপড়ও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। গেস্টহাউসের ১৪ নম্বর ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য বেশ কিছুদিন রিহ্যাবেও ছিলেন পৃথ্বীশ কুমার গায়েন। রিহ্যাব থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গত বছর ফের নতুন করে মদ্যপান শুরু করেন তিনি। যা নিয়ে ছেলের সঙ্গে ঝামেলা হয়। সেই কারণেই তিনি আলাদা থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। তবে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি কোনও শত্রুতার জেরে এই পরিণতি তাঁর, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।