সুকুমার সরকার, ঢাকা: ১৮ তম স্ত্রীর সাহায্যে ১৭ তম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল বাংলাদেশের (Bangladesh)আদালত। বাংলাদেশের উত্তর জনপদ জেলা রংপুরের পীরগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত (Hanged to death) স্বামীর নাম আবু সাঈদ। বৃহস্পতিবার রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক এম আলি আহমেদ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলার অপর পলাতক আসামি আবু সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রংপুরের (Rangpur) পীরগঞ্জ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুন। ওই উপজেলারই পালগড় গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের বিয়ে হয়। তানজিনা ছিলেন আবু সাঈদের ১৭ তম স্ত্রী। পরবর্তীতে আবু সাঈদ তাছকিরা বেগম নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তার বিয়ের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮। কিন্তু ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আবু সাঈদ ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি বিকেলে তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যা (Murder) করে। তারপর তাঁর মরদেহ ধানখেতে ফেলে যায়। অভিযোগ ওঠে, তার ১৯তম নববিবাহিত স্ত্রী তাছকিরার সহযোগিতায় তানজিনাকে হত্যা করে।
[আরও পডুন: তিন বিয়ের কথা গোপন করে চতুর্থ বিয়ে, জানাজানি হতেই তিন তালাক স্বামীর! রুজু মামলা]
এই হত্যাকাণ্ডের পরের দিন পীরগঞ্জ থানায় দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তানজিনার বাবা। তদন্ত শেষে সেই বছরের জুলাই মাসে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার জিয়াউল হক। ২০১০ সালের ২৬ জুলাই জামিন পেয়ে যায় আবু সাঈদ। কিছুদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক ছিল সে। অন্যদিকে তাছকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পাওয়ার ২ বছর পর থেকে পলাতক।
[আরও পডুন: ‘বাইচান্স স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ’, বিএনপি নেতার মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক পদ্মাপাড়ে]
সরকারি কৌঁসুলি তাজিবুর রহমান লাইজু জানান, অভিযুক্ত আবু সাঈদ যৌতুকের লোভে একের পর এক বিয়ে করছিলেন। তানজিনাকে বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের মধ্যে ১০ হাজার টাকা দেন তার বাবা। বাকি ১৫ হাজার টাকার দাবিতে তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।