সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেবলমাত্র অনুমান ক্ষমতা। আর তার জোরেই সহজে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ আমেরিকার (America) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) এক হ্যাকার। গত অক্টোবরে একাজ করেছিলেন তিনি। তারপর ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া নিয়ে শোরগোল উঠলেও তা অস্বীকার করেছিল FBI এবং টুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষ। তবে ওই ডাচ হ্যাকারের স্বীকারোক্তি তাঁদের সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিল। অবশ্য ‘ভাল উদ্দেশ্যে’ হ্যাকিংয়ের জন্য কোনও শাস্তি পাচ্ছেন না ভিক্টর জেভার্স নামে ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আবহেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিলেন জেভার্স। কতটা শক্তিশালী মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটার অ্যাকাউন্ট, তাঁকে কী রুখতে পারবে মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা বেষ্টনী? এই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতেই হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করেন তিনি। এরপর কেবলমাত্র অনুমান ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্পের পাসওয়ার্ডটি ক্র্যাকও করেছিলেন। সেটি ছিল, ‘MAGA2020!’ অর্থাৎ ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (Make America Great Again)। মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা বেষ্টনীও হ্যাকিংয়ের তাঁকে রুখতে পারেনি। তারপর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন জেভার্স।
[আরও পড়ুন: করোনার ধাক্কায় কমছে আয়! বিশ্বব্যাপী বহু কর্মী ছাঁটাই করবে Coca-Cola]
পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে হ্যাকিংয়ের কথা জানালেও, তা মানতে চায়নি টুইটার এবং এফবিআই কর্তৃপক্ষ। তবে জেভার্সের দাবি ছিল, তাঁর কাছে আরও প্রমাণ রয়েছে। এবার ডাচ প্রশাসনও জেভার্সের দাবিতেই সিলমোহর দিল। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এথিক্যাল হ্যাকার’ হিসেবে পরিচিত জেভার্স পুরো ব্যাপারটিই জানিয়ে দেন ডাচ পুলিশ এবং এফবিআইকে। কীভাবে তিনি এই কাজ করেছেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও দেন। তাই ডাচ প্রশাসন জানিয়েছে, ‘ভাল উদ্দেশ্যে’ হ্যাকিংয়ের জন্য শাস্তিমূলক কোনও পদক্ষেপ করা হবে না জেভার্সের বিরুদ্ধে।