সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী, সন্তান-সহ পরিবারের ৮ সদস্যকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস খুন! মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে মধ্যেপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার। জানা গিয়েছে, হত্যাকারী পরিবারেরই সদস্য। খুনের পর নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে অভিযুক্ত। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ছিন্দওয়াড়ার তামিমার কাছে জঙ্গলঘেরা এক আদিবাসী গ্রামে চলে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড। পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাত ২.৩০ থেকে ৩টে নাগাদ এই কাণ্ড ঘটায় ওই পরিবারেরই সদস্য দীনেশ। বাড়ির সকলে যখন ঘুমে অচেতন ঠিক সেই সময় কুড়ুল দিয়ে পরিবারের একের পর এক সদস্যকে খুন করে সে। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্তের ১০ বছরের বালক। যদিও ঠিক কী কারণে দীনেশ এমন কাণ্ড ঘটাল তা এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক অসুস্থ ছিলেন অভিযুক্ত। যার জন্য চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: খারিজ উমর খালিদের জামিনের আর্জি, দিল্লি হিংসাকাণ্ডে জেলেই থাকবেন ছাত্রনেতা]
ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনায় মৃতরা হলেন দীনেশের ভাই, স্ত্রী ও সন্তান। স্থানীয়দের দাবি ভোররাতে ওদের বাড়ি থেকে হঠাৎ কান্নাকাটি ও চিৎকারের শব্দ শোনা যায়। গ্রামবাসীরা ছুটে এলে দেখা যায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। গ্রামবাসীরা চলে আসায় বাড়ি থেকে জঙ্গলে পালিয়ে যায় দীনেশ। পরে বাড়ি থেকে কিছু দূরে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ছিন্দওয়াড়া পুলিশ।