ধীমান রায়, কাটোয়া: গিয়েছিলেন মাঠে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে। তখনই মনে ইচ্ছা জাগে একঘর লটারির (Lottery) টিকিট কেটে দেখা যেতে পারে। ইচ্ছা হতেই টিকিট বিক্রেতার কাছে গিয়ে হাজির। কিন্তু তখন পকেটে টাকা ছিল না। পরিচিত লোকের মনের ইচ্ছা দেখে নিরাশ করেননি টিকিট বিক্রেতা মমেজুল শেখ। তিনি ধারেই ওই ৬০ টাকার টিকিট দিয়েছিলেন। আর তাতেই কামাল। ৬০ টাকার টিকিট কেটে কোটিপতি হয়ে গেলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট (Mangalkot) থানার খুর্ত্তুবাপুর গ্রামের বাসিন্দা জনমজুর ভাস্কর মাজি!
অপরের জমিতে কাজ করে আর বাড়িতে ছাগল পালন করে কোনওরকমে সংসার চালান। বসতবাড়িতেও ফুটো চাল দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ে। এককথায় হতদরিদ্র অবস্থা ভাস্করদের। এই অবস্থায় কোটি টাকার লটারি জিতে রাতারাতি তাঁর ভাগ্য (Luck) বদলে গেল। এই ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: পুরনো কয়েনের বিনিময়ে ১০ লাখ টাকার টোপ! ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন যুবক]
বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, স্ত্রী। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্ত্রী সুমিত্রাদেবী বলেন, “আমাদের খুব কষ্টের সংসার। স্বামীর মাঝেমধ্যে টিকিট কাটার অভ্যাস ছিল। এনিয়ে আপত্তিও করতাম। তবে টিকিট কেটেই যে এভাবে আমাদের সুদিন আসবে ভাবতেই পারিনি। ভগবান মুখ তুলে চেয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের সঙ্গে দেখা করতে রাজি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, কী পদক্ষেপ নেবেন অভিষেক?]
মেয়ে নয়ন ও কল্পনাদেবী বলেন, “বাবা খুব পরিশ্রম করেন। ভীষণ কষ্ট করেই আমাদের লেখাপড়া করিয়েছেন। ধার-দেনা করেই আমাদের বিয়ে দিয়েছেন। এবার বাবাকে আর অন্যের জমিতে খাটতে হবে না।” জানা গিয়েছে এদিন রবিবার ভাস্করবাবু ন’পাড়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে জমিতেছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। ন’পাড়া বাসস্ট্যান্ডেই লটারির টিকিট বিক্রি করেন মমেজুল শেখ। তিনি বলেন,”ভাস্করদা আমার কাছে মাঝেমধ্যে টিকিট কাটতেন। সেদিন ওর কাছে টাকা ছিল না। তাই ধারেই টিকিট নিয়ে গিয়েছিলেন। ওর কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ায় আমরা খুব খুশি।”