অর্ণব দাস, বারাসত: শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া এবার মধ্যমগ্রামে। স্ত্রীকে খুনের পর দেহ ছ টুকরো করে খালে ফেলে দিল স্বামী। এর পর ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নিজেও। তবে তাতে লাভ হল না। গ্রেপ্তারির পর অভিযুক্তের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খাল থেকে দেহাংশ উদ্ধার করছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
মৃতের নাম সায়রা বানু। তাঁর স্বামী নুরউদ্দিন মণ্ডল। দিনকয়েক আগে বছর পঞ্চান্নর নুরউদ্দিন মধ্যমগ্রাম থানায় স্ত্রী সায়রা বানুর নামে একটি মিসিং ডায়েরি করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের স্বার্থেই বেশ কয়েকবার নুরউদ্দিনকে জেরা করে পুলিশ। সেই সময় বক্তব্যে অসংগতি পান তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নুরউদ্দিন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। দেখেন, নুরউদ্দিন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
[আরও পড়ুন: ভারতে ক্ষুব্ধ মুইজ্জুর মালদ্বীপ, জয়শংকর বলছেন, ‘কোনও গ্যারান্টি নেই’, কীসের ইঙ্গিত?]
পুলিশ সূত্রে খবর, এর পরই স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় নুরউদ্দিন। জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত। তার পর প্রমাণ লোপাটে দেহ ৬ টুকরো করে। ফেলে দেয় খালে। যাতে পুলিশের সন্দেহ না হয় সেই কারণে নিজেই নিখোঁজ ডায়েরি করে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। কিন্তু কী কারণে এই নৃশংসতা? স্থানীয়দের অনুমান, জমিবিবাদের জেরেই এই ঘটনা।