সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফণীর পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। কিন্তু এখনও ঘরছাড়া ওড়িশার এক দলিত পরিবার। তাঁদের ঠাঁই হয়েছে এলাকার একটি শৌচালয়ে। জানা গিয়েছে, ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইতিধ্যেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে ওই পরিবার। আশ্বাসও মিলেছে সাহায্যের।
[আরও পড়ুন: ফের আত্মহত্যা বিশ্বভারতীতে, হস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ]
গত ৩ মে সকালে নির্ধারিত সময়ের কয়েকঘণ্টা আগেই ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ওড়িশার ১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷ বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে৷ উপড়ে গিয়েছে বহু গাছপালা৷ বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। ফণীর জেরেই ঘরছাড়া হয়েছিলেন ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার বাসিন্দা ক্ষীরোদ জেনা। ফণীর তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছিল তাঁর ঘর। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কার্যত রাস্তায় ঠাঁই হওয়ার জোগাড় হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু, ফণীর তাণ্ডবের পরেও অক্ষত ছিল এলাকার স্বচ্ছ ভারত অভিযানে তৈরি একটি শৌচাগার। সেই মুহূর্তে কোনও উপায় না পেয়ে সন্তানদের নিয়ে ওই শৌচাগারেই আশ্রয় নেন ওই ব্যক্তি। ফণীর আতঙ্ক কেটেছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরেছে দেশবাসী। কিন্তু, এখনও সংসার নিয়ে শৌচাগারেই বাস ওই পরিবারের।
[আরও পড়ুন: কলকাতায় মূর্তিকাণ্ড, বালুরঘাটে অবহেলিত বিদ্যাসাগরের প্রতিকৃতি রক্ষার দাবি]
এ প্রসঙ্গে ক্ষীরোদ জানা জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘরের জন্য আবেদন জানিয়েছেন, সরকারের তরফে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।” এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “ফণী আমার আমার জীবন ওলটপালট করে দিয়েছে। যতদিন না প্রশাসনের তরফে আমাকে কোনও সাহায্য করা হবে, ততদিন এই শৌচাগারেই আমাদের থাকতে হবে। কারণ, ঘর মেরামতির সামর্থ্য আমার নেই।” এ প্রসঙ্গে ডিআরডিএ আধিকারিক দিলীপকুমার পারিদা জানিয়েছে, “এরকম একটা ঘটনার কথা আমরা জানতে পেরেছি। ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” তবে কতদিনে মিলবে ক্ষতিপূরণ? কতদিনে শৌচাগার ছেড়ে ঘরে ফিরতে পারবে, সেই অপেক্ষায় জেনা পরিবার।
The post ফণীতে ঘর হারিয়ে শৌচাগারে ঠাঁই, প্রশাসনের সাহায্যের অপেক্ষায় পরিবার appeared first on Sangbad Pratidin.