সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীকে খুন করতে হবে। তাই সাপুড়ের থেকে সাপ কিনে এনে ঘরের মধ্যে ছেড়ে দিলেন এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত বিষাক্ত সাপের ছোবলেই মৃত্যু হল তাঁর স্ত্রী ও দুবছরের কন্যাসন্তানের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) গঞ্জাম জেলায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথমে সন্দেহ ছিল না পুলিশের। কিন্তু মৃতা মহিলার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আবারও নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। ঘটনার দুমাস পরে আটক হয় অভিযুক্ত।
ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম কে গণেশ পাত্র। বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তাঁর। তখনই সিদ্ধান্ত নেন, স্ত্রীকে খুন করতে হবে। পরিকল্পনা করেই কাজে নেমে পড়েন গণেশ। এক সাপুড়ের থেকে গোখরো সাপ কিনে আনেন। গত ৭ অক্টোবর ঘরের মধ্যে সাপটি ছেড়ে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। সেই সময়ে ঘরের মধ্যে ছিলেন গণেশের স্ত্রী ও দুই বছর বয়সি কন্যা। সাপের ছোবলে মারা যান দুজনেই।
[আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের লোহার খনিতে বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, মৃত ২]
স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা যায় ময়না তদন্তে। তাই এই ঘটনায় আলাদা করে তদন্ত করেনি পুলিশ। কিন্তু ঘটনার বেশ কিছুদিন পরে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন গণেশের শ্বশুর। তার পর নতুন করে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সাপুড়ের থেকে সাপ নিয়েছিলেন গণেশ। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরেই অভিযুক্ত গণেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের অভিযোগে এখনও লাগাতার জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। সাপুড়েকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।