সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রতারকদের কাছে আয়ের নয়া পথ খুলে দিয়েছে কোভিড-১৯। করোনা পরীক্ষার নামে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্র। ইতিমধ্যে এই চক্রের সদস্যরা হাজারো মানুষের হাতে করোনা টেস্টের নামে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এবার সেই চক্রের এক পাণ্ডা মহম্মদ সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
[আরও পড়ুন: করোনার সংক্রমণের মধ্যেই ভয়াবহ বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি, জলমগ্ন ১৭টি জেলা]
জানা গিয়েছে, করোনা নিয়ে জাল করবার ফাঁস হওয়ার পর কলকাতা পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছিল রিজেন্ট গ্রুপের মালিক ও চেয়ারম্যান মহম্মদ সাদেক। বুধবার ভোরে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতের দিকে বশিরহাটে ঢোকার চেষ্টা করার সময় র্যাব জওয়ানরা পাকড়াও করেন ওই প্রতারককে। প্রতারক সাহেদ এতটাই দুধর্ষ যে তাকে সাতক্ষীরা থেকে সড়ক পথে ঢাকায় আনার ঝুঁকি নেয়নি র্যাব। গ্রেপ্তার করার পর হেলিকপ্টারে চাপিয়ে সাহেদকে ঢাকায় আনা হয়। গত ৬ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে অসংখ্য ভুয়ো করোনা টেস্টের অভিযোগে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম অভিযান পরিচালনা করার পর থেকে সাহেদ করিম পলাতক ছিল। র্যাব ভুয়ো করোনা টেস্ট রিপোর্ট প্রদান ও হাসপাতালে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা ও মিরপুর শাখা দু’টি সিল করে দিয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশে জেকেজি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বিশদ তদন্ত করে বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। অভিযোগ, ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনও পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়ো রিপোর্ট সরবরাহ করেছে। ঢাকার অভিজাত ও কূটনৈতিক পল্লি হিসেবে খ্যাত গুলশানে তাদের অফিসের একটি জব্দ করে এই ভুয়ো রিপোর্ট সরবরাহের প্রমাণ মিলেছে।
[আরও পড়ুন: অবৈধভাবে সাগর পথে ইটালিতে গিয়ে আটক বাংলাদেশের ৩৬২ নাগরিক]
The post বাংলাদেশে তুঙ্গে জাল করোনা রিপোর্টের ব্যবসা, কলকাতা পালাতে গিয়ে জালে অভিযুক্ত appeared first on Sangbad Pratidin.