দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শাশুড়ির করোনা রিপোর্ট হাতে নিয়ে সটান রিষড়া (Rishra) থানার ভিতরে ঢুকে গেলেন যুবক। তবে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা যুবককে দেখে ভয় পেলেন না পুলিশকর্মীরা। পরিবর্তে বেশ ভালই ব্যবহার করলেন। কার করোনা হয়েছে সে বিষয়ে জেনে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দিলেন পুলিশকর্মীরা। হাত বাড়াল পুরসভাও। আপাতত হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। পুলিশ ও পুরসভার মানবিক ভূমিকায় অত্যন্ত খুশি রিষড়ার মানুষজন।
রিষড়ার বাসিন্দা এক ষাটোর্ধ মহিলা দীর্ঘদিন ধরে গল ব্লাডারের স্টোনের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। গত চার মাস যাবৎ হাওড়ায় মেয়ের কাছে থেকে চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন। সম্প্রতি ওই মহিলার অস্ত্রোপচার হয়। তারপর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, বৃদ্ধা করোনা আক্রান্ত। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আর একটুও সময় নষ্ট করেননি তাঁর পরিজনেরা। রোগ না লুকিয়ে ওই প্রৌঢ়ার পরিবারের লোকজন বরং তা নিরাময়ের জন্য উঠে পড়ে লাগেন। কিন্তু কোথায় গেলে সঠিক দিশা পাওয়া যেতে পারে তা প্রথমে বুঝতে পারছিলেন না মহিলার জামাই। অনেক ভাবনাচিন্তার পর জামাই করোনার রিপোর্ট-সহ শাশুড়িকে নিয়ে সটান হাজির হন রিষড়া থানায়। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ওই মহিলা থানায় ঢোকেননি।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেও ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান, ধমক খেতেই বেরল ‘বন্দে মাতরম’]
করোনা মোকাবিলায় রিষড়ায় একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে। সেখানে পুলিশ ও পুরসভার আধিকারিকদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য পুর প্রশাসক বিজয় সাগর মিশ্র বলেন, “একজন করোনা রোগী যাতে সঠিক চিকিৎসা পান তাই পুলিশ এবং পুরসভার পক্ষ থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই এই বৃদ্ধার ক্ষেত্রেও দেরি করা হয়নি। ওই যুবক পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর করোনা রোগীর নির্দিষ্ট অ্যাম্বুল্যান্সে বৃদ্ধাকে তোলা হয়। পিপিই কিট পরা চালকই তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। আমাদের লক্ষ্য রোগীকে দূরে ঠেলে দেওয়া নয়। আমাদের লক্ষ্য রোগ নিরাময় করে রোগীর সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দেওয়া।” পুরসভা ও পুলিশের এই মানবিকতায় খুশি এলাকার মানুষ। অসুস্থ পরিজনকে হাসপাতালে ভরতি করতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বৃদ্ধার পরিজনেরা।
[আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ’, মলয়-অরূপকে পার্টি অফিসে আটকে রেখে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের]
The post করোনা আক্রান্ত শাশুড়িকে নিয়ে সোজা রিষড়া থানায় গেলেন যুবক, তারপর… appeared first on Sangbad Pratidin.