সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নজিরবিহীন শাস্তি! ১০ বছরের নাবালিকার উপর টানা দু’বছর ধরে লাগাতার যৌন নির্যাতন (Sexually Assault)। দোষীকে ১৪২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। কেরলের পকসো (POCSO) আদালত অভিযুক্তকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। এই জরিমানা দিতে না পারলে তাকে আরও একবছর কারাবাসে থাকতে হবে। বলা হচ্ছে, পকসো আইনে এটাই সর্বোচ্চ সাজা।
ঘটনা ২০২১ সালের। কেরলের (Kerala)পানাথানামথিত্তা জেলায় ১০ বছরের এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয় তিরুভালা থানায়। আনন্দন পি আর ওরফে বাবু ২০১৯ থেকে টানা দু’বছর ধরে সে যৌন নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বাবু ওই নাবালিকার পরিবারের আত্মীয় এবং তাদের বাড়িতেই থাকত। আর সেই সুযোগে সে নৃশংসভাবে অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগপত্রে জানিয়েছে নির্যাতিতার অভিভাবকরা।
[আরও পড়ুন: দেবীপক্ষে ত্রাতা ২ মহিলা আরপিএফ, মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচালেন যাত্রীর প্রাণ]
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তিরুভালা থানার ইন্সপেক্টর হরিলাল পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেন। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ-সহ আনন্দনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে চার্জশিট পেশ করে। এরপর সেখানকার বিশেষ পকসো আদালতে শুরু হয় মামলা। তার রায় ঘোষণা হল এদিন। জেলা পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ”পকসো আইনে জেসন ম্যাথিউস নির্যাতিতার পক্ষে সওয়াল করেন। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ, যুক্তি-পালটা যুক্তির লড়াইয়ে শেষমেশ বাবুকে দোষী প্রমাণ করতে সফল হন তিনি। বিচারক অভিযুক্তকে ১৪২ বছরের কারাদণ্ডের (Imprisonment) নির্দেশ শুনিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: উৎসবের মাসে ক’দিন বন্ধ ব্যাংক? দেখে নিন অক্টোবরে ব্যাংকের ছুটির তালিকা]
১৪২ বছরের সাজা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আইনজ্ঞদের মতে, এই সময়ের উল্লেখ প্রতীক মাত্র। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন জীবন, ততদিনই জেলবন্দি হয়ে কাটাতে হবে অভিযুক্তকে। ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, অনেক সময়েই জেলবন্দিদের সংশোধন প্রবৃত্তি ও আচরণ দেখে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাবুর ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সেই কারণেই তাকে দীর্ঘ সময় কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে।